যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গড়ে তুলছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তখনও দেশের সম্ভাবনাময় নারী শক্তি নিয়ে 🌌কেউ ভাবেননি। কিন্তু দেশ স্বাধীনের শুরুতে তা নিয়ে ভেবেছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুꦰরী।
এখ✨ন দেশে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে অনেক কথা হয়। কিন্তু নিজেদের প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সত্যিকারভাবে এর প্রয়োগ দেখিয়েছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সমাজে বিরাজমান প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে নারীরꦏ ক্ষমতায়ন করেছিলেন।
যে দেশে নারী কোনো কাজ ‘পারে না’ বলে ধারণা প্রতিষ্ঠিত, সেসব কাজে ডা. জাফরুল্লাহ নারীদের সম্পৃক্ত করেছিলেন। ইলেকট্রিশিয়ান༒, কারপেন্টার, ওয়েল্ডার হিসেবে নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে নিযুক্ত করেছিলেন তিনি তার প্রতিষ্ঠানে। ড্রাইভার হিসেবে নারীদের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রই প্রথম সামনে নিয়ে আসে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গণস্বাসღ্থ্য কেন্দ্রের নারী ড্রাইভাররা বড় বড় জিপ চালাতে শুরু করেন ১৯৮২ সাল থেকে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৫০০। এর মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশ নারী।
অন্য আরও বহু কীর্তির মধ্যে দেশে নারীর ক্ষমতায়নের উজ্ওজ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনও প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আরেক অবদান। যে কর্মবীরের অভাব বাংলাদেশে অপূরণীয়।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টায় ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন𓆉 অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. মামুন মোস্তাফী তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
বহুমাত্রিক কর্মময় জীবনের অধিকারী জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন একজন ভাস্কুলার সার্জন। তিনি মূলত জনস্বাস্থ্য চিন্তাবিদ। ১৯৮২ সালের ওষুধনীতি দেশকে ওষুধে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ করে, ওই নীতি প্রণয়নের অন্যতম কারিগর ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।