• ঢাকা
  • শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


নারী হিসেবে সংবাদকর্মীদের চ্যালেঞ্জ ও বৈষম্য


খাদিজা নিপা
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৩, ০৭:১৫ পিএম
নারী হিসেবে সংবাদকর্মীদের চ্যালেঞ্জ ও বৈষম্য

আজ ৮ মার্চ।꧃ অন্যদিনের মতো আজকের দিনটাও শুরু হয়েছে সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে। অন্যদিনের মতো আজও ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হবে। কিন্তু কিছুটা ব্যতিক্রম আজকের দিনটা। ব্যতিক্রম এই দিক দিয়ে যে দিনটি একটা বিশেষ সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। মনে করিয়ে দেয় নারীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাসের। এই দিনটি ঘিরে কথা হয় ব্রডকাস্ট জার্নালিজম꧃ের তিন সংবাদ কর্মীদের সঙ্গে। তিনজনের কাছেই দুটি করে প্রশ্ন রাখা হয় : ১. কর্মস্থলে বা বাইরে কী কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেন? ২. কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার হতে হয় কি?

ইশরাত জাহান ঊর্মি
সংবাদকর্মী ও উপস্থাপক, ডিবিসি টেলিভিশন

চ্যালেঞ্জের প্রশ্নে উত্তর
নারী সাংবাদিক হিসেবে আলাদাভাবে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়, তা আলাদাভাবে বলা তো কঠিন। সবাই যেটা ফেস করে। আমাদেরও সেটাই করতে হয়। কাজের চাপ বেশি হয়ে যায় আমাদের। আমরা কর্মজীবী নারী। তাই আমাদের ঘরের কাজ সামলাতে হয়, আবার বাইরের কাজও যাতে নিখুঁত হয়, সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। আসলে মানুষ হিসেবে আমাদের তো একটা সীমাবদ্ধতা থাকে, আমি তো আর সুপার উইম💎েন নই। ফলে দেখা যায় যে, অনেক কিছু নিখুঁত হয় না। আমার পুরুষ সহকর্মী একটা কাজ যতটা নিখুঁতভাবে করতে পারে, নারী হওয়ার কারণে হয়তো অনেক সময় ততটা নিখুঁতভাবে হয় না। কারণ, পারিপার্শ্বিক অবস্থা সব সময় সাপোর্ট করে না, চারপাশ সব সময় সাপোর্ট করে না।

বৈষম্যের প্রশ্নে উত্তর
না, নারী হিসেবে এমন কোনো বৈষম্যের শিকার হই না। আমি টেলিভিশনে কাজ করি। সেখানে আসলে বৈষম্যের শিকার ওভাবে হতে হয় না। বৈষম্যের শিকার যতটা হয়ে থাকি, তা নারী হিসেবে নয়, একজন অফিসের কর্মী হিসেবে হই। একজন পুরুষও অনেক সময় বৈষম্যের শিকার হয়। সেই জায়গা থেকে আমি মনে হয় না সেভাবে বৈষম্যের শিকার হই। তবে সাংবাদিকতার বাইরে আমি একটা অনুষ্ঠা༒ন উপস্থাপনা করি ‘অন্যপক্ষ’ নামে। এটা আসলে নারীদের নিয়ে অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানটি করতে গিয়ে মনে হয়েছে, এটা হয়তো আরেকটু ভালো মনোযোগ পেতে পারত আমার কর্মস্থলে, সেটা পায় না। রাজনীতিবিষয়ক প্রোগ্রাম যতটা মনোযোগ পায়, নারী ইস্যুতে করা প্রোগ্রাম ততটা মনোযোগ পায় না।

 

কাওসার সোহেলী 
বিশেষ প্রতিনিধি, মাছরাঙা টেলিভিশন

চ্যালেঞ্জের প্রশ্নে উত্তর
আমার ১৯ বছরের কর্মজীবন। এই পেশায় যখন নিযুক্ত হই শুরুতেই আমাকে নারী কর্মী হিসেবে পেশাগত জায়গায় অনেক কোমল বিষয় নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে তৈরি করা হয়েছিল। সহজভাবে যদি বলি, প্রথমে আমাকে ডেস্কে কাজে বসতে বলেছে। আমি ফার্স্ট ক্লাস সেকেন্ড রেজাল্ট নিয়ে বেরিয়েছি। আমার রেজাল্ট দেখে, যোগ্যতা বিচার করে চাকরি হয়েছে— নারী কোঠায় না। আমি যখন কাজে ঢুকলাম, আমাকে বলা হলো ডেস্কে কাজ করো। মেয়েদের বাইরে কাজ করা অনেক কঠিন। ১৯ বছর আগেরꦫ কথা। তখন তো যাতায়াত ও নিরাপত্তাব্যবস্থা তেমন ভালো ছিল না। সবকিছু মিলিয়ে এ রকম একটা পরিস্থিতি ছিল যে, মেয়েরা ডেস্কে কাজ করবে, মেয়েরা ফিচারে কাজ করবে। পরে আমি ওখানে পরীক্ষা দিয়ে পাস করি। ৫ বছরের মাথায় আমাকে বলা হলো যে, নারী ও শিশু বিটে তোমাকে দেওয়া হলো। আমার একদম স্পষ্ট মনে আছে, আমাকে যখন কাজ দেওয়া হলো, সে সময় রোজার মাস ছিল। আমাকে দেওয়া হলো ঈদ উপলক্ষে বিউটি পার্লারগুলোর মধ্যে কী কী অফার আছে, প্রস্তুতি পর্ব আছে, সেগুলোর ওপর আমাকে একটা রিপোর্ট করতে দেওয়া হলো। এই অ্যাসাইনমেন্টটা আমাকে দেওয়া হলো, কারণ আমি নারী। নারী হিসেবে মূল্যায়িত হওয়া এই পেশায় একটা কমন ইস্যু ছিল আগে। আমি যেটা মনে করি, এখন সেই পরিস্থিতিটা খুবই কম। যদি কোথাও হয়ে থাকে, সেটা সেই প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তার মানসিকতার সমস্যার জন্য। কর্মক্ষেত্রে নারী হিসেবে যে বাধাগুলো পেয়েছি, সে মেয়ে, সে কীভাবে ক্রাইম রিপোর্ট করবে, তার নিরাপত্তা কে দেবে? এই বাধাগুলো ১৫—১৬ বছর আগেও যত প্রকট ছিল, এখন একেবারেই নেই। এখন মেয়েরা ক্রাইম বিটে কাজ করছে। তারপরও আমাদের শারীরিক সমস্যাগুলো তুলে ধরে বলা হয়, আমরা শারীরিকভাবে দুর্বল, অনেক কিছু পারব না। আমি বিশ্বাস করি, সেই জায়গাটা এখন অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। মেয়েরা এখন সব বিটে কাজ করছে। মেয়েরা এখন যেমন নির্বাচন বিটে কাজ করছে, তেমনি সেখানের মারামারিও কাভার করছে। দেশের বাইরে গিয়েও কাজ করছে। যেমন ইউক্রেন যুদ্ধ কাভার করছে আমাদের দেশ থেকে না হলেও অন্যান্য দেশের মেয়েরা। এখন এটা একটা সাধারণ দৃশ্য। কর্মক্ষেত্রে একটা পরীক্ষা আমি বেশি অনুভব করেছি। আমার যেমন যোগ্য কর্মী হিসেবে পরীক্ষা দিতে হয়েছে, আবার তেমনি আরেকটা পরীক্ষা দিতে হয়েছে যে, আমার দিকে তোমরা মেয়ে হিসেবে তাকিয়ো না; কর্মী হিসেবে তাকিয়ো। আমি মেয়ে, এই যে চিন্তাটা পাশে রেখে কাজ দাও, এই চিন্তাটা বাদ দাও। এদিক থেকে পরীক্ষাটা একটা ছেলের চেয়ে একটা মেয়েকে বেশি দিতে হয়। বাইরে সমস্যা হয় যেটা, সেটার ভালো দিক, মন্দ দিক দুটিই আছে। আমি যখন অনুসন্ধান বিটে কাজ করি তখন অনেক জায়গায় হয়েছে, আরে ও তো মহিলা, সে আবার কী করবে, তাকে কাগজটা দিয়ে দাও। এভাবে আমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছি। একটা অসম্মান থাকেই। কিন্তু এই অসম্মানটা আমি আমার কাজে লাগিয়েছি। তবে আমাদের বাইরের জগতে একজন নারী কর্মীর সম্মান অনেকটা বেড়েছে। বিশেষ করে যারা ফটোগ্রাফিতে কাজ করছে, তারা অনেক ভালো কাজ করছে। আগের থেকে চ্যালেঞ্জ কম। আর বাকি ক্ষেত্রে নারী কর্মীর যেমন মানসিক সমস্যা, তারাও মেয়ে হিসেবে কিছু সুযোগ নিতে চায়, যেটাকে অনেকে উদাহরণ হিসেবে দেখায়। আর কিছু মানসিকতার সমস্যা কর্তাব্যক্তি আছে যারা বলেন, এ মেয়ে ও একটু আরামে থাকুক ও অফিসেই থাকুক। যৌন হয়রানির বিষয়টি হয়তো আপনি তারপর জিজ্ঞেস করবেন। আমি মনে করি এটা যেকোনো পেশায় বা যেকোনো জায়গায় সম্মুখীন হতে হয়। সেটাকে তার মতো করে ওভারকাম করে নিতে হয়। আমাদের পেশায় এটা অনেকে শিকার হয় বলে বেশি মনে করে। কিন্তু আমি মনে করি যে, এটাকে ওভারকাম করার জন্য একটা মেয়েকে যথেষ্ট কর্মদক্ষতার সঙ্গে জবাব দিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

বৈষম্যের প্রশ্নে উত্তর
আমার হতে হচ্ছে না বলে বলব না যে এ রকম হচ্ছে না। আমি আমার মতো ম্যানেজ করেছি। ম্যানেজ করার একটা নিজস্ব সক্ষমতা তৈরি করেছি। এ জন্য হয়তো আমাকে এর সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। তবে কিছু কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতেই হয়। যেমন ঢাকার বাইরে যখন ট্যুরে যেতে হয়, তখন ওয়াশরুম ব্যবহারের যে সমস্যা,🐼 সেই কমন সমস্যার অজুহাত দিয়ে মেয়েদের, বিশেষ করে যারা জুনিয়র, তাদের পাঠাতে অনীহা দেখানো হয়। আর ঢাকার বাইরে হলে অনেকেই পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তোলে, এই ধরনের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। যখন আমি খুব ভালো কাজ করছি, মানে আমার কাজ অনেক বেশি ভালো হচ্ছে, আমি পত্রিকায় হেডলাইন হচ্ছি বা আমার কাজ হেডলাইন হচ্ছে, তখন আমার কিছু কিছু পুরুষ সহকর্মী আছে, যারা ঈর্ষাকাতর হয়ে আমাকে বলছে এই তুই হিজড়াদের মতো পোশাক পরিস কেন? আর একটু সাজগোজ করলে তো পারিস। এটাকে ধরে যদি আমি মনে করি লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছি, তাহলে আমি পিছিয়ে যাব। আমি তার পরিপ্রেক্ষিতে যে জবাবটা মনে আসছিল, তাই বলেছি। আমার কাজ এতটাই ভয় পাচ্ছ যে, আমাকে সেই মানুষটার সঙ্গে তুলনা করছে, যাকে কিনা সৃষ্টিকর্তাও ঠকিয়েছেন। আমার কাছে মনে হয়, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে পারিবারিক সামাজিক সব জায়গায় নারী কর্মীরা সম্মানিত হচ্ছেন তাদের কাজের সূত্র ধরে। কোথাও কিন্তু নারী কোঠায় আপনিও চাকরি পাননি, আমিও না। ১৯ বছর পরও নারীর কোটায় চাকরি পায়নি, ১৯ বছর আগেও না। তাহলে এখন নারীরা কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, এসব তুচ্ছ জায়গায় নিজেকে বেঁধে রেখে পেছনে হাঁটব? আমাদের এখন বরং এটা বলতে হবে, না আমি এখন অনুসন্ধান বিটে কাজ করি। এরপর আমি দেশের বাইরে যেকোনো নিউজ কাভার করব। আমাকে কেন প্রধানমন্ত্রী (পিএম) বিট দেওয়া হবে না? একটা ছেলেই কেন প্রধানমন্ত্রী বিট করবে, একটা মেয়ে কেন করবে না, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজে একজন নারী। নারী বিট করব না, এটা আমি বলছি না। নারী বিট করব অবশ্যই এবং পিএম বিটও করব। এ রকম বোধের মধ্যে আমাদের যাওয়া উচিত। যোগ্যতা প্রমাণের জায়গাগুলোতে নিজের কর্মক্ষমতা নিজের শক্তিমত্তা দিয়ে তৈরি করা দরকার। কে দেবে সেই প্রসঙ্গ আসবে কেন? আমি অর্জন করে নেব। আমাকে ঠকানো হচ্ছে, সেই কথাটা তর্ক না করে, কর্মক্ষমতা দিয়ে তুলে নিয়ে আসব—এই মানসিক দৃঢ়তা থাকতে হবে।

 

কাবেরী মৈত্রেয়
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ৭১ টেলিভিশন

চ্যালেঞ্জের প্রশ্নে উত্তর
সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত যেসব নারী আছেন, তাদের চলার পথটা আসলে মসৃণ নয়। এই পেশাটাই তো চ্যালেঞ্জের। আমি যেহেতু টেলিভিশনে কাজ করি, ফলে আমি যখন বাইরে যাচ্ছি, তখন আমার চ্যালেঞ্জটা অনেক বেশি থাকে। কারণ, আমি সোর্স পর্যন্ত ঠিকঠাক পৌঁছাতে পারি না। কারণ, একে তো আমাদের সামাজিক যে অবস্থা বা সমাজের ꧋যে দৃষ্টিভঙ্গি, নারীরা পুরুষদের কাছে যাবে কোনো তথ্য নেওয়ার জন্য বা সংবাদের সোর্স হিসেবে—এটা আসলে আশপাশের মানুষজন ভালোভাবে নেয় না। ফলে যখন সোর্স মেনে চলতে যাচ্ছি, তখন এটা একটা চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আবার যখন অফিসের বাইরে সোর্সকে এসএমএস করি বা দেখা করতে চাই, তখন তিনি স্বস্তিবোধ করেন না। ছোট থাকতে আমাদের যে পুরুষতান্ত্রিক পরিবার বা সমাজ থেকে নানা বিষয় মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, সেটা নিজেরও অস্বস্তি হয়। এছাড়া বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পোশাক। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যেꩲসব পোশাক পরিধান করি আর কাজের জন্য যেটা আমার পরতে হয়, তুলনামূলকভাবে ওড়না ছোট বা যেটা আমি সচ্ছন্দ বোধ করি, সেসব পোশাক অনেকের কাছে একটু দৃষ্টিকটু হচ্ছে, মানে সেটা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছে না। বাইরের দিকে যখন যাচ্ছি, কাজের জন্য আমার নিজস্ব চাহিদা, বিশেষ করে পাবলিক টয়লেটে যাওয়া কিংবা নিজের একটু যত্ন নেওয়া— এই কর্মপরিবেশটা আসলে এখনো তৈরি হয়নি। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের তো আসলে নিউজ কাভার করতে কখনো বস্তিতেও যেতে হয় আবার পাঁচ তারকা হোটেলেও যেতে হয়, সেসব জায়গায় দেখি যে, সামাজিক যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেগুলো আমাদের অনুকূল না। মানে একজন নারী সাংবাদিকের অনুকূলে না। সবগুলোতেই দেখি, কেউ সহজভাবে নিতে পারে না। গণমাধ্যমে কাজ করি বলেই হয়তো এই মেয়ে ভালো হবে না। উত্ত্যক্ত করা বা ইভ টিজিংয়ের শিকার হওয়া কিংবা বুলিংয়ের শিকার হওয়া মোটামুটি চ্যালেঞ্জের।

বৈষম্যের প্রশ্নে উত্তর
আমার ক্যারিয়ার পত্রিকা দিয়ে শুরু। পত্রিকা ও টেলিভিশন মিলিয়ে প্রায় ১২ বছর হলো। সেখানে অবশ্যই নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হই বা হচ্ছি। একজন পুরুষ সহকর্মী 🎐তার কাজ, মেধা বা নিষ্ঠা সেভাবে না দেখিয়েও তার অনেকগুলো পথ আছে বস পর্যন্ত পৌঁছার। আমি বলতে চাই, মিডিয়া হাউসে এখনো সেইভাবে পেশাদারিত্ব গড়ে ওঠেনি। বেতনের কথা যদি বলি, ওটা আসলে নেগোশিয়েশনের, জায়গায়টাও আসলে খেয়াল করি না। কাজ যেভাবে আনন্দসহকারে করি, বেতনটা আসলে সেভাবে হয় না। টেলিভিশনে যেহেতু ওয়েজবোর্ড কিংবা বেতন বা আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধার কাঠামো সেভাবে নেই, ফলে পুরুষ সহকর্মীর তুলনায় নারী সহকর্মীর সবাই কিন্তু একটা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নিউজ সংগ্রহ থেকে শুরু করে সম্প্রচার হওয়া পর্যন্ত সব জায়গায় আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। তবে কর্মপরিবেশের দিক থেকে আমাদের টেলিভিশনে নারীদের কাজের পরিবেশ খুবই ভালো। ভালো এই অর্থে, আমার যারা পুরুষ সহকর্মী আছে, তাদের সঙ্গে কোনো রকম অস্বস্তি ছাড়াই কাজ করতে পারছি। আর এখানে আমাদের যেটা মাতৃত্বকালীন ছুটি, সেটা কিন্তু বেতনসহ ছয় মাস দেয়। তবে আমাদের নিজস্ব যে ওয়াশরুম, সেটা কিন্তু এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি। অর্থাৎ অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা এখনো নিশ্চিত করা যায়নꦛি।

Link copied!