পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নিয়োগকারীদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ। তিনি বলেছেন, “ফান্ড ম্যানেজার 𒈔টাকা-পয়সা নিয়ে ভেগে যায় কীভাবে? এ জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাই বড় দায়ী। মিউচুয়াল ফান্ড ও পুঁজিবাজারকে ক্ষতি করার পেছনে বড় দায় বিএসইসির।”
বুধবার (২১ আগস্ট) বেলা ১ꦓ১টায় রাজধানীর পল্টনে নিজস্ব কার্যালয়ে পুঁজিবাজারভিত্তিক সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু আহমেদ বলেন, “বাংলাদে🎃শের অর্থনীতিতে অলিগার্ক তৈরি হয়েছে। ত♊াদের প্রশ্রয় দিয়ে তৈরি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো। বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে।”
অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার এ বিশেষজ্ঞ বলেন, “ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংকে লুট হয়েছে। যারা লুট করেছে, তাদের শাস্তি দিতে হবে। না হলে জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরবে না। বড় বড় কোম্পানির মালিকরা এ লুটপাট করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কীভাবে পারল ব্যাংক দখল করার সুযোগ দিতে? 💦ব্যাংকে বড় ঋণ কেলেঙ্কারি কীভাবে হয়। এটা দেখার দায়িত্ব তো তাদের।”
আবু আহমেদ বলেন, “নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ব্যর্থতার কারণ♛েই দেশের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির ৯০ শতাংশই অল্প কয়েকজনের দখলে চলে গেছে। এভাবে অর্থনীতি চালালে তো সাধারণ মানুষের দুর্দশা হবেই। সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে থাকবেই।”
মিউচুয়াল ফান্ড ও পুঁজিবাজারকে ক্ষতি করা💟র পেছনে বিএসইসির বড় দায় রয়েছে বলে জানান আবু আহমেদ। তিনি বলেন, “মিউচু🅘য়াল ফান্ড খারাপ হওয়ার কথা আমরা বারবার আলোচনা করি। এক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন দায়ী।”
আবু আহমেদ বলেন, “বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি যে কোম্পানিতে বিনিয়োগ করব, সে কোম্পানি সম্পর্কে যদি নিজে না জানি তাহলে কেন বিনিয়োগ করল𝕴াম। নলেজের কোনো বিক𒆙ল্প নেই। নলেজ হচ্ছে এক ধরনের সম্পদ।”
আবু আহমেদ আরও বলেন, “পুঁজিবাজারের আরেকটি বড় দুর্নীতির উৎস হচ্ছে তালিকাভুক্তির আগে প্লেসমেন্ট শেয়ার বাণিজ্য। এটি বড় দুর্নীতির জায়গা। এটা নিয়েও রেগুলেটর কাজ করতে পারেনꦺি। ভালো আইপিও আসছে না, আনার চেষ্টাও করা হয়নি। ইনটেনসিভ ꦅনা থাকলে ভালো কোম্পানি এখানে আসবে কেন? এখানে ভালো কোম্পানি আনতে হলে, কোম্পানিকে ভালো কিছু সুবিধা দিতে হবে। এই সুযোগটাও এতদিনে ব্যবস্থা করতে পারেনি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।”
সংগঠনের সভাপতি গোলাম সামদানীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডিবিএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদ্দিন, সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান, সিএমজেএফ যু⛎গ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন রেজওয়ান, সাবেক অর্থ সম্পাদক নিয়াজ মাহমুদ, আব্দুল হাকিম প্রমুখ।