দেশের সাধারণ মানুষকে বিএনপি শত্রু মনে করছে বলে মন্তব্য ক๊রেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। তিনি বলেছেন, “১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল আমাদের 𓃲স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা, বাঙালির পরিচয় বিনষ্ট করা। এর মূল মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য হত্যার মাধ্যমে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই হত্যার ধারাবাহিকতা এখনো চলমান।”
বৃহস্প🥀তিবার (১৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল ♌হোসেন খান নিখিল।
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, “আমরা ২১ বছর কোনো বিচার পাইনি। দ্বারে দ্বারে দৌড়াতে হয়েছে। আমি মনে করি শেখ হাসিনার মাধ্যমে আল্লাহ বিচার করেছেন। কোনো মানুষের পক্ষে ওই দুর্বিষহ, অপরিসীম সাহস দেখানো সম্ভব না। শেখ হাসি✨নার ৩৫ বছরের অপেক্ষার মাধ্যমে, বন্দুকের নলকে উপেক্ষা করে, লোভ-লালসা বিসর্জন দিয়ে, জীবনের ওপর হুমকি-আক্রমণ উপেক্ষা করে খুনিদের বিচার করেছেন।”
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, “২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট তারা দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা করল। ২০০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত 🎉যে পরিমাণ অত্যাচার, খুন, হত্যা করেছে, আওয়ামী লীগের ২৫ হাজার নেতাকর্মী𝐆কে হত্যা করেছে। তাদের এসকল হত্যাকাণ্ড, সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, সাধারণ মানুষের আর্তনাদ যেন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ না করে এই কারণে প্রেস ক্লাবে বোমা হামলা চালায়। তারা আঘাত করে বিচারালয়ে। যেন বিচারক এবং সাধারণ মানুষ ভয় পায়। ভয়-ভীতি প্রদর্শন, সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র এগুলোই বিএনপির রাজনীতির অস্ত্র, রাজনৈতিক কৌশল।”
পরশ বলেন, “যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চান, তারা শেখ হাসিনা ও উন্নয়নের সঙ্গে আছেন। এই উন্নয়ন এবং দেশের শান্তি বিএনপির ভালো লাগে না। এটাকে বিনষ্ট ক🅷রাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। তাদের প্রধান শত্রু এ দেশের জনগণ। কারণ তারা একাত্তরে দেশের জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশের মুক্তিকামী জনগণ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। এ কারণে তাদের আক্রোশ জনগণের ওপর।”
শেখ ফজলে শামস্ পরশ আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের জনগণ। এ কারণে বারবার বিএনপি-জামায়াত মানুষকে ভিকটিম বানায়, আঘাত-অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে। সাধারণ মানুষকে হত্যা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা ব্꧑যর্থ রাষ্ট্র করতে চায়। তারা দেশকে আফগানিস্তান, পাকিস্তান বানাতে চায়।”
এসময় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হ☂োসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজাসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।