চীনর সঙ্গে বাংলাদেশ রপ্তানি বাণিজ্য আরো বাড়াতে চা🌌য় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে হাত মেলালে বিশাল কিছু অর্জন করা সম্ভব।”
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) চীন⛄-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সংক্রান্ত সম্মেলনে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে বিনিয়োগের এখনই উপযুক্ত সময়। তাই চ꧑ীনা বি﷽নিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি।”
শেখ হাসিনা আরও বলে❀ন, “নিজেদের অংশীদার খুঁজে নিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।”
চার দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে সোমবার (৮ জুলাই) চীন🐬ের রাজধানী বেইজিং পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্ဣরীর এই সফর দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত বিস্তৃত সহযোগিতা অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৮-১১ জুলাই বেইজিংয়ে অবস্থানকালে প্র💝ধানমন্ত্রী ১০ জুলাই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সাথে দ্বিপাক্ষিক𒀰 বৈঠক এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সাথে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন।
বেইজিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের এই দ্বিপাক্ষিক সফরে ব🥂াংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০টি থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পরꦅরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই সফরকালে অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্🌱নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, ৬ষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি ও দুদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের সমঝোতা স্মারকগুলো সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৬ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। সে সময় উভয় দেশ কৌশলগত অংশীদার🍨িত্বে পৌঁছেছিল।
বাংলাদেཧশ🎐ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বেইজিং সফর করেছিলেন। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময়ে চীন সফর করেছেন।
দুই দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ𒁃 জয়ন্তী উদযাপন করবে।
গত ২১-২২ জুন তার সর্বশেষ ভারত সফরের ১৫ দিনের মধ্🧸যেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই চীন সফর।
শেখ হাসিনার চীন সফরের দ্বিতীয় দিনে ৯ জুলাই এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভ𒈔েস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানস্থলের সভাকক্ষে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী চীনের বেইজিংয়ের সাংগ্রি-লা সার্কেলে চীনের ওয়ার্ল্ড সামিট উইংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনে🥀 যোগ দেবেন।
বিকেলে বেইজিংয়ের গ্রেট 💞হল অব দ্য পিপল-এ প্রধানমন্ত্র꧙ী ও কনসাল্টেটিভ পার্টির প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী পরে তিয়েনানমেন স্🐻কয়ারে পিপল’স হিরোদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
সন্ধ্যায় তিনি বেইজিংয়ে বাংলাদেশ হাউসে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে চী🍨নে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আꦆয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন।
১০ জুলাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রিমিয়ার লি কিয়াংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় তাদের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)সহ বেশ কিছু নথিতে সই করা হবে।
পরে তিনি একই স্থানে চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত♑্রী আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজসভায় যোগ দেবেন।
একই দিন বিকেলে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
চীন সফর শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে (বিজি১৭০৪) বেইজিং সময় ১১ জুলাই বেলা ১১টায় দেশের উদ্দেশে 🌺রওনা হবেন।