বাংলাদেশের কোনো সামরিক উচ্চাভিলাষ নেই কিংবা আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার আকাঙ্ক্ষাও 🧸নেই বলে জা🌳নিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিকꦜদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন (ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স–আইওসি) আয়োজন, চীনের অঞ্চল ও পথের উদ্যোগের (বিআরআই) সঙ্গে যুক্ততা, সম্প্রতি বাংলাদেশের ভারত মহাসাগরীয়𓃲 দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ꦿবলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন হলো সবার মুখে হাসি ফোটানো। আমাদের দেশে যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো অনেকটা মৌলিক। এখানে এখনো ১৮ শতাংশের মতো দারিদ্র্য আছে এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতিরা যখন বৈঠকে বসেন, তখনোও তারা এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন যে কীভাবে মানুষকে আরও ভালোভাবে রাখতে পারি। এটিই আঞ্চলিক উদ্দেশ্য।”
সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুকের সঙ্গে বড় অর্থনৈতিক দেশগুলো যে কৌশলপত্র দিয়েছে, সেটির সঙ্গে আংশিক মিল পাওয়া যাবে বলে উল্লে🐲💟খ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সতর্কতার সঙ্গে তার পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, “নাগরিক সমাজ ভালো কোনো পরামর্শ দিলে সেটি আমরা নিতে পার♉ি এবং অতীতে আমরা সেটি নিয়েছি। এটি কোনো সমস্যা নয়।”
আইওসি আয়োজনের বিষয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, “পৃথিবীর সবচেয়ে বর্ধিষ্ণু অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো ভারত মহাসাগরের দেশগুলো বা এশিয়া। এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, যোগাযোগ, অনাহূত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে 𒐪আমরা কীভাবে সহায়তা করতে পারি, ওই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং হবে।”
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, সম্মেলনে ২৫টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। এই সম্মেলনে কাউকে ইচ্ছা করে বাদ দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে পররাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ দেওয়া হয়নি কারণ, ওই দඣেশের সরকারকে পৃথিবীর অন্য দেশগুলো স্বীকৃতি দেয় না। কিন্তু অন্য বড় দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।”
চীনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি না, জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, “হ্যাঁ এবং আমার ধারণা, ꦺতাদের প্রতিনিধিরাও এসেছেন বা আসার কথা।”