রাজধানীসহ সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদไের ডাকা অসহযোগ আন্দোলন চলছে। এ আন্দোলনের নিউজ কাভার করতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হয়েছেন সংবাদ প্রকাশের দুই সাংবাদিক। তারা হলেন, জাহিদুল ইসলাম আরিফ ও লিটন রোজারিও।
রোববার (৪ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকা🗹য় এ 💮ঘটনা ঘটে।
আরিফ ও লিটন বলেন, “নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে সকাল থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের নিউজ কাভার করছিলাম। বিকেল ৫টার দিকে সোনারগাঁও হোটেল মোড় ও কারওয়ান বাজার এলাকায় যাই। পেট্রোবাংলার সামনে আন্দোলন-সংঘর্ষের চিত্র মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে গেলে কয়েকজন আমাদের দিকে তেড়ে আসেন এবং হাতে থাকা মোবাইল কেড়ে (ছিনিয়ে) নেন। আমরা ‘সাংবাদিক’ পরিচয় দেওয়ার পরও মোবাইল ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান। মোবাইল আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলেন। এরপর ভাঙা মোবাইলটি ওই লোকটিই কু⛎ড়িয়ে নিয়ে হাঁটতে থাকেন। বারবার মোবাইল ফেরত চাইছিলাম আমরা। তাকে আমরা কিছুদূর অনুসরণও করি। কিন্তু একটা সময় মোবাইল নিয়ে দ্রুত হেঁটে সে ভিড়ের ভেতর হারিয়ে যায়।”
এ অবস্থায় ভয় পেয়ে🧸 কোনোরকম জীবন নিয়ে ফিরে এসেছেন বলে জানান আক্রান্ত দুই সাংবাদিক।
হেনস্তার বর্ণনা দিয়ে আরিফ ও লিটন বলেন, “আমরা সবসময় নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার চেষ্টা করি। কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে আজকের অসহযোগ আন্দ♔োলনসহ সবকিছু ‘জীবন ঝুঁকি’ নিয়েও সবাইকে জানানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু এরপরও এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে, এমনটা কখনো ভাবিনি। এই ঘটনার পেছনে যারা রয়েছেন, তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি করছি। এছাড়াও সারা দেশে সাংবাদিকদের যেভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে, এটি যেন অতি দ্রুত বন্ধ হয়। তা নাহলে ঘটনার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা সম্ভব নয়।”
আরিফ ও লিটন আরও বলেন, “শুধু আমরা নই, যেকোনো সাংবাদিককে দেখলেই তারা ꧒‘গালাগালি’ করছিলেন। তাদের দেখে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছিল। অনেকের হাতে লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্রও দেখা যায়।”