লোকগবেষক ড. তপন বাগচীর পাশে দাঁড়ালেন দেশের ২০ কবি, লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী। ৩১ জানুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কবি ๊রাহেল রাজিব স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্💙কারপ্রাপ্ত ১৮ জন ফেলো।
বিবৃতিতে জানানো হয়, খ্যাতিমান ফোকলোরবিদ ড. তপন বাগচীর সম্পাদনাগ্রন্থ ‘মাতাল রাজ্জাক গীতিমালা’ নিয়ে দুই ব্যক্তি সাংবাদিক সম্মেলন করে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যাচার করে চলেছেন। তারা তপন বাগচীর নামে অপপ্রচার চালিয়ে এ বছর🐟 ঘোষিত ফোকলোর বিভাগে পাওয়া বাংলা একাড༺েমি সাহিত্য পুরস্কার বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন। এমন সংবাদ চোখে পড়ায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, বিস্মিত ও হতবাক।
আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে, ড. তপন বাগচী সম্পাদিত ‘মাতাল রাজ্জাক গীতিমালা’ গ্রন্থের সঙ্গে অভিযোগকারী ওই দুই ব্যক্তির সম্পাদিত গ্রন্থের কোনো মিল নেই। এমনকি গ্রন্থের প্রচ্ছদ, ভূমিকা, সূচিপত্র এবং গানের বিন্যাস ও🦂 আলোকচিত্রও আলাদা। মাতাল রাজ্জাকের ছেলে শিল্পী কাজল দেওয়ান এবং কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের ♈ভূমিকাও সাক্ষ্য দেয় যে, এটি স্বতন্ত্র সংকলন। এ গ্রন্থের স্বত্বও মাতাল রাজ্জাকের পরিবারের হাতে রয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা নিশ্চিত হয়ে বলছি যে, ড. তপন বাগচী একটি গানও নিজেജর বলে দাবি করেননি। তাই এই সংকলন নিয়ে চুরির অভিযোগ হাস্যকার। তাদের এই দাবি অগ্রহণযোগ্য এবং অনৈতিক। এর সূত্র ধরে এ বছর ঘোষিত তপন বাগচীর প্রাপ্ত পুরস্কার বাতিলের দাবি হাস্যকর, অবান্তর ও অনভিপ্রেত। আমরা জানি, বাংলা একাডেমি কোনো নির্দিষ্ট গ্রন্থের ওপর পুরস্কার দেয় না। বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেয় কোনো লেখকের সামগ্রিক রচনাকর্মের ওপর ভিত্তি করে। সে হিসেবে ‘বাংলাদেশের যাত্রাগান: জনমাধ্যম ও সামাজিক পরিপ্রেক্ষিত’, ‘লোকগানের খোঁজে’, ‘লালন মতুয়া লোকসংগীত অন্বেষণ’, ‘লোকসংস্কৃতির কতিপয় পাঠ’ গ্রন্থগুলোই তাঁর ফোকলোরচর্চার প্রমাণ বহন করে।
আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, ড. তপন বাগচী একজন পরিশ্রমী ও গুণী গবেষক। তাঁকে ফোকলোর বিভাগে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করায় আমরা বাংলা একাডেমিকে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানাই। একই সঙ্গে তপন বাগচীর বিরুদ্ধে ঈর্ষা ও বিদ্বেষপ্রসূত এই ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প൲্রতিবাদ জানাই।
বিবৃতিদাতা কবি, লেখক ও সংস্কৃতিকর্মীরা হলেন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বাংলা একাডেমির ফেলো ড. মাহবুবুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সফিকুননবী সামাদী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, কবি, কথাসাহিত্যিক ও গবেষক ড. মাসুদুল হক, দৈনিক সময়ের আলোর সহকারী সম্পাদক কবি আলমগীর রেজা চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শংকর জোয়ার্দ্দার, ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রনির্মাতা সাদাত হোসাইন, কবি, গল্পকার ও প্রাবন্ধিক বীরেন মুখার্জী, লেখমালার সম্পাদক কবি মামুন মুস্তাফা, কবি, প্রাবন্ধিক ও সাং𓆏বাদিক মামুন রশীদ, প্রাবন্ধিক ও গবেষক রঞ্জনা বিশ্বাস, গীতিকার এবং ব্রহ্মপুত্র ব্যান্ডের লিড ভোকাল ইউসুফ সাকী ব্যানার্জী, কবি ও গীতিকার ফখরুল হাসান, কথাশিল্পী ও নাট্যকার সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, কবি, কথাশিল্পী ও গীতিকার রনি রেজা, কবি, কথাশিল্পী ও সাংবাদিক তাহমিনা শিল্পী, শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রণজিৎ সরকার, কবি ও কথাশিল্পী ইসরাত জাহান, কবি সালমা সুলতানা, গল্পকার সুলেখা আক্তার শান্তা।
সম্প্রতি লোকগবেষক ড. তপন বাগচীর একটি সম্পাদনাকর্ম নিয়ে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ইকবাল জাফর ও মহস𒊎ীন দেওয়ান লিটন নামে দুই সম্পাদক। তারা তপন বাগচীর নামে এ বছর ঘোষিত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন।