ধূসর মেঘে ঢাকা♔ আকাশ। কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। প্রকৃতির এমন বিষণ্ন দিনে ফুলের শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় নিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত কবি অসীম সাহা। বাংলা একাডেমি চত্বরে তাকে বিদায় জানাতে এসেছিলেন সমকালীন কবি, বন্ধু আর ভক্তরা। তাদের উচ্চারণে ধরা দিল কবি’র কবꩵিতা। যা মুছে যাবার নয়। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে তাকে সমাহিত করা হবে রাজধানীর সবুজবাগ বরদেশ্বরী কালী মন্দিরের শশ্মানে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন অগ্রজ কবি নির্মলেন্দু গুণ। এসেছিলেন সংস্কৃতিজন আসাদুজ্জামান নূর, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের, জাসদের সভাপত🌠ি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শিরীন আক্তার, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি মোহন রায়হান, গোলাম কিবরিয়া পিনু, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত আবৃত্তিকার আশরাফুল আলম, কবি তারিক সুজাত, কথাসাহিত্যিক ঝর্ণা রহমান, কবি আসলাম সানীসহ আরও অনেকেই।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ☂কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার নেতৃত্বে একাডেমির কর্মকর্তারা অসীম সাহার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) দ🍎ুপুর পৌনে ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি অসীম সাহা।
জানা যায়, চলতি বছ🐠রের শু𝔉রুর দিকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কবি অসীম সাহা। চিকিৎসকরা তখন জানিয়েছিলেন, কবি বিষণ্নতায় ভুগছেন। এ ছাড়া পারকিনসন (হাত কাঁপা রোগ), কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়াবেটিসেও ভুগছিলেন তিনি।
১৯৪৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনার মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন অসীম সাহা। পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, বাংলা সাহিত্যে। সামগ্রিকভাবে সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করে𒈔ন।
পরে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত কর😼ে।
বিশিষ্ট কবি অসীম সাহা বাংলাদেশের কবিতার ইতিহাসে এক অনন্য নাম। কবিতায় ধ্যানমগ্ন এক জীবন পার করেছে🎐ন। মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ সকল প্রগতিশীলতায় তার ছিল অবাধ বিচরণ।