টেলিভিশন আমাদের জীবনের অন্যতম একটি অংশ হয়ে গেছে। যদিও আগেরকার সময়ের মতো ড্রয়িংরুমে বসে সামনের কোনো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে তাকিয়ে দেখতে হয় না। চাইলে যেকোনো জায়🎃গায়, যেকোনোভাবেই দেখা যায় টেলিভিশন।
কারণ প্রযুক্তির কল্যানে মুঠোফোনের যুগে এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে টেলিভিশনের সকল🔜 সুবিধা। তবে যত মাধ্যমই আসুক না কেন টেলিভিশনের প্রয়োজন বুঝি ফুরাবে না ꧒কখনো।
আজ ২১ নভেম্বর বিশ্ব টেলিভিশন দিবস। ১৯২৬ সালে আজকের দিনে টেলিভিশন উদ্ভাবন করেন জন লোগি বেয়ার্ড। টেলিভ♑িশন উদ্ভাবনের এই দি💛নটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আজ সারা দেশে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস পালন করা হয়।
টেলিভিশন শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘টেলি’ অর্থ দূরত্ব আর লাতিন শব্দ ‘ভিশন’ অর্থ দেখা। টেলিভিশনে একই সঙ্গে ছবি দেখা ও শব্দ শোনা যায়। টেলিভিশনই প্রথম বিশ্বটাকে মানুষের ঘরের মধ্যে এনেছিল। যার মাধ্যমেই হয় তথ্য ⛎ও বিনোদনের এক বিস্ময় জাগানিয়া অগ্রগতি।
টেলিভিশনের মূল ধারণা হচ্ছে শব্দ ও ছবিকে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে ট্রান্সমিট করা। মূলত তিনটি প্রযুক্তির সমন্বয়ে সৃষ্ট হয় টেলিভিশনের আউটপুট। টিভি ক্যামেরা; যার কাজ হচ্ছে শব্দ ও ছবিকে তড়িৎ-চৌম্বকীয় সংকেতে রূপান্তর করা, টিভি ট্রান্সমিটার; যার কাজ হচ্ছে এই সংকেতকে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে প্রেরণ করা এবং টিভি সেট (রিসিভার), য⛦ার কাজ হচ্ছে এই সংকেত গ্রহণ করে তাকে আগের ছবি ও শব্দে রূপান্তরিত করা।
১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর সাদা-কালো সম্প্রচার শুরু করে বাংলাদেশ টেলিভিশন। ১৯৮০ সাল থেকে শুরু হয় রঙিন সম্𝓡প্রচার। বর্তমানে টেলি🥂ভিশনকেই তথ্য-বিনোদনের প্রধান উৎস বলে মনে করা হয়। খবর ও খেলা সম্প্রচার ছাড়াও বিনোদনমূলক নানান চমকের কারণে রয়েছে টেলিভিশনের আবেদন।