বর্তমান সময়ে বিয়ে সম্পন্ন হওয়া থেকে বিবাহবিচ্ছেদের খবরই বেশি শোনা যাচ্ছে। নতুন দম্পতিরা দুই, চার বছর একসঙ্গে কাটাচ্ছেন। এরপরই কোনো অজুহাতে বি💛চ্ছেদের পথে হাঁটছেন। সম্পর্কগুলো যেন এখন ঠুনকো হয়ে যাচ্ছে। সমঝোতার মাপকাঠি এখন নেই বললেই চলে। সঙ্গীর কোনো দোষ খুঁজে পেলেই, একটাই উপায় বের করেন, ‘বিচ্ছেদ’। আবার অনেক দম্পতি আছেন একসঙ্গে একছাদের নিচে থাকছেন ঠিকই। কিন্তু তাদের মধ্যে দূরত্ব থাকছে অনেক। এমনকি রাতে দুজনই আলাদা থাকতেই বেশি পছন্দ করছেন। এর নামই হচ্ছে ‘স্লিপ ডিভোর্স’।
আধুনিক কাপলদের মধ্যে স্লিপ ডিভোর্স বাড়ছে। কয়েক বছর আগেও এই স♑মস্যা যেন কোনো কিছুই ছিল না। কিন্তু বর্তমান সময়ের বিশ্বের অধিকাংশ দম্পতির মধ্যেই এটি দেখা যাচ্ছে।
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিনের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়ꦓস্কদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ মানুষই রাতে ঘুমোনোর সময় তাদের স্ত্রীর থেকে আলাদা শুতে পছন্দ করছেন। অনেকের অজুহাত, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর। কিন্তু এটি কতটা কার্যকর জানেন কি?
বিশেষজ্ঞরা জা🙈নান, স্বামী-স্ত্রীর আলাদা ঘুমোনোর সিদ্ধান্ত কিংবা ‘স্লিপ ডিভোর্স’-এর পেছনে বেশ কয়েকটি কা♌রণ থাকে। সমীক্ষায় উঠে এসেছে,
· সঙ্গী দুজনের ঘুমোনোর সময় আলাদা থ🍸াকে তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
· আবার কেউ সঙ্গীর নাকডাকার শব্দে ঘুমাতে পারেন না। তা🌌ই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
· আবার সঙ্গীর অপরিচ্ছন্নতা প♑ছন্দ করেন না বলে🌸 আলাদা ঘুমাচ্ছেন।
· সঙ্গীর সঙ্গে শুধু ঝগড়াই লেগে থাকে। তাই সম্পর্কের তিক্ততা এড়াতে এ﷽কে অন্যের পাশে না ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
· ঘরের এসির তাপমাত্রা, আলো জ্বালানো, টেলিভিশন𒐪 দেখা নিয়েও সঙ্গীর আপত্তি থাকে।꧙ তাই আলাদা ঘুমাচ্ছেন অনেকে।
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিনের গবেষকরা জানান, ঘুম দৈনন্দিন কাজের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ভালো ঘুম শরীর ও মন ভালো রাখে। কাজের গতি বাড়ায়। আর অসম্পূর্ণ ঘুম হলে তা কেবল শরীরের ক্ষতি করে না, মনমেজাজের উপরেও প্রভাব ফেলে। সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই সবকিছু স্বাভাবিক রাখতেই আলাদা ঘুমোনো ♕বা স্লিপ ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন দম্পতিরা।
গবেষকরা জানান, আলাদা ঘুম বা ‘স্লিপ ডিভোর্স’ সম্প⛄র্কের উপর কেমন প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে পরিস্থিতির উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। অনেকের ধারণা, আলাদা ঘুম মানেই সম্পর্কে সমস্যা বাড়বে। কিন্তু সমীক্ষা বলছেꦛ উল্টো কথা। সঙ্গীদের মধ্যে মতপার্থক্য নিয়ে একসঙ্গে ঘুমালে তা আরও জটিলতা বাড়ায়। বরং সম্পর্ক ভালো রাখতে একমত হয়ে আলাদা বিছানা বা ঘরে ঘুমালে সম্পর্কের তিক্ততা কমবে।
সূত্র: নিউড১৮