আনিস সাহেব, পেশায় একজন ব্যাংকার। ব্যাংকের উচ্চ পদের দায়িত্ব রয়েছেন। সকালে উঠেই ব্যাংকে যাওয়ার তাড়া থাকে। বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে যেতে হবে ব্যাংকে। ঘুম থেকে উঠেই তড়িঘড়ি করে বাথরুমে যান। বাথরুমে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নেন। সেই সঙ্গে ব্রাশ করে একেবারেই ফ্রেশ হয়ে যান। এরপর নাস্তা করেই রেডি হয়ে বেরিয়ে যান অফিসের উদ্দেশ্যে। আনিস সাহেবের মতো অনেকের সকাল এভাবেই কাটে। বাথরুমে দাঁত ব্রাশ করা হয় বলে সেখানেই রেখে দেন। শহরের প্রায় সব বাড়িতেই বাথরুমে দাঁত মাজার ব্রাশ রাখা হয়। এটা নতুন কিছু নয়। তবে বাথরুমে ব্রাশ রাখলে স্বাস্থ্যঝুঁ𒀰কি বাড়ে-এই তথ্য নিশ্চয়ই অনেকেরই অজানা।
বাথরুমে টুথব্রাশ রাখলে কী হয়, এই প্রশ্নের জবাবে বিশেষজ্ঞরা জানান, বাথরুমে টুথব্রাশ রাখলে তাতে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক বাসা বাঁধে। কারণ বাথরুম হচ্ছ🎃ে জীবাণু আঁতুরঘর। আর বাড়ির সব ঘর থেকে বাথরুম সবচেয়ে বেশি অপরিস্কার হয়। তাছাড়া অন্য ঘরের তুলনায় বাথরুমের তাপমাত্রা বেশি হয়। যা থেকে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত জন্মায়।
অনেকের ধারণা, বাথরুম ন𒆙িয়মিত পরিস্কার করলেই তা জীবানুমুক্ত হয়ে যায়। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। বরং বাথরুম ঝকঝকে থাকলেও জীবাণু জন্মায়। বাথরুমে থাকা কমোডে ফ্লাশ দেওয়া হলেই ক্ষতিকর প্যাথোজেন ছড়িয়ে পড়ে। যা ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়। তাই বাথরুমে থাকা সব জিনিসেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। টুথব্রাশেও সংক্রমণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, বাথরুম স্যাঁতস্যাঁতে থাকলে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক দ্রুত বিস্তার করে। ত🧸াই সেখানে রাখা টুথব্রাশ নিয়মিত ব্যবহারে শরীর অসুস্থ হয়। এমনকি বড় রোগের শঙ্কাও বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, টুথব্রাশসহ ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস বাথরুমের বꦓাইরে রাখাই ভালো। বাথরুমের বাইরে কোনো বেসিন থাকলে সেখানে টুথব্রাশ রাখা যেতে পারে। তাছাড়া বাথরুমের ভেতরে ক্যাবিনেট করে সেখানে পরিস্কার করে রেখে দিলেও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আর সবসময় ঢাকনাযܫুক্ত টুথব্রাশ ব্যবহার করা উচিত। এতে বিভিন্ন পোকামাকড় থেকেও ব্রাশ সুরক্ষিত থাকবে। খেয়াল রাখতে হবে টুথব্রাশ যেন বায়ুবাহিত দূষিত পদার্থের সংস্পর্শে না আসে। অবশ্যই বছরে তিন থেকে চার বার কিংবা প্রতি তিন মাস পরপর টুথব্রাশ বদলে নিতে হবে।
সূত্র: এবিপি নিউজ