বিমান ভ্রমণের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ। এই সময় ফোন এয়ারপ্লেন মোড বা ‘ফ্লাইট মোড’-এ রাখতে বলা হয়। এয়ারপ্লেন মোডে স্মার্টফোন সমস্ত নেটওয়ার্ক থেকে ꦰবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু বিমান সফরে ফোন এয়ারপ্লেন মোডে রাখতে হয় কেন জানেন?
ফোন এয়ারপ্লেন মোডে রাখার অন্যতম কারণ হলো সিগন্যালের সমস্যা এড়ানো। বিমান আকাশে ওড়াকালীন ফোন থেকে নির্গত ইলকট্রোম্যাগনেটিক সিগন্যাল ক্রমাগত নেটওয়ার্কের খোঁজ করবে। এতে পাইলটের রেডিও সিগন্যাল আদান-প্রদানে 🔥বিঘ্ন ঘটতে পারে। আর বিমানের পাইলট যোগাযোগের জন্য রেডিও সিগন্যালের ওপর নির্ভরশীল।
আবার আপনার ফোন থেকে নির্গত ইলকট্রোম্যাগনেটিক সিগন্যাল বিমানের নিজস্ব ইলকট্রোম্যাগনেটিক প্রযুক্তির কাজে বাধা সৃষ্টি করবে। আপনি ভাবতে পারেন আপনার একার মোবাইলফোন থেকে নির্গত ইলকট্রোম্যাগনেটিক সিগন্যাল এতোটাই শক্তিশালী না যে বিমানের সিগন্যালে বাধা সৃষ্টি করবে। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, একটি বিমানে অন্তত একশ থেক🔯ে দেড়শ মানুষ থাকে। অধিকাংশ যাত্রীর ফোন থেকে নির্গত ইলকট্রোম্যাগনেটিক সিগন্যাল যদি এক সঙ্গে নেটওয়ার্কের খোঁজ করতে থাকে তবে তা বিমানের যোগাযোগ এবং দিক নির্ণায়ক প্রযুক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে। এবং তা থেকে ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।
একই রকম ভাবে ককপিটের সঙ্গে গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের যে যোগাযোগ প্রক্রিয়া তাকে ব্যাহত করতে পারে। এতে বিমানের স্পর্শকাতর যন্ত্রাংশের ক্ষতি হতে পারে। অনেক বেশি জরুরি হলো বিমান ওঠা-নামার সময়ে এয়ারপ্লেন মোডে রাখা। কারণ যখন বিমান উপরে ওঠে এবং ধীরে ধীরে তার গ🃏তি বাড়তে থাকে তখন ফোন বিভিন্ন টাওয়ার থেকে সিগন্যাল নিতে থাকে। প্রতি মুহূর্তে বদলাতে থাকে টাওয়ার। এতে ব্যহত হতে পারে পাইলটের রেডিও সিলন্যাল আদান-প্রদান।
অন্যদিকে ইলকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন মানসিক চাপ বাড়ায়। তাই বিমান ওঠা নামার সময় ফোন অব🅘শ্যই ফ্লাইড মোডে রাখুন। কারণ অনেক বিমান যাত্রী কিছুটা ভয় ও উদ্বেগে থাকেন। আপনার ফোন থেকে নির্গত ইলকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন তাদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তোলে।