ইউরোপের মতো বরফ দিয়ে ঢাকা শীত না পড়ল༒েও, আমাদের দেশে যে শৈত্যপ্রবাহ হয়, সেটি কোনো অংশেই কম নয়। তা ছাড়া এই অঞ্চলের মানুষ তো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের বসবাস করে। তাপমাত্রা ২০-এর নিচে গেলেই তাই আমাদের ঠান্ডা লাগতে শুরু করে, আমরা গরম জামাকাপড় বের করি। শীতকালে চারদিকে থাকে কুয়াশার চাদর আর সেই সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা বাতাস। সূর্যের আলোটা ম্লান আর ঝুপ করেই যেন অন্ধকার নামে। এমন আবহাওয়ায় সারাদিনই কাটে মনমরা হয়ে। কোনো কাজেই মন বসে না, কোথাও যেতে ভালো লাগা তো দূরের কথা, কোনো বন্ধুর সঙ্গেও কথা বলতে ইচ্ছা করে না।
এমনিতে নগর ও গ্রামে শীতকালে উৎসব-উৎসব একটা ✅ভাব আছে, তবে অত𝓀িরিক্ত শীতে বিষণ্ণতা জেঁকে বসতে পারে অনেকের মনেই এবং তা অনেক কারণে, এটাকে বলা হয়ে থাকে ‘Winter Blue’ বা SAD (Seasonal Affective Disorder)।
এই অবস্থা এড়িয়ে যাওয়ার কিছু নেই। অনেক সময় এই অবস্থা আপনাকে আরও খারাপ অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে পারে। উপেক্ষা করবেন না।
অনেক গবেষকরা মনে করেন, আলোর তারতম্যের সঙ্গে এ✤র সম্পর্ক রয়েছে। শীতকালে সূর্যের আলো কম থাকে ও দিনের সময়টা ছোট হওয়াতে, শরীরের কিছু রাসায়নিক উপাদানের তারতম্য হয়, আর তাতেই তা🌊 আমাদের মনের ওপর প্রভাব পড়ে।
যেভাবে বুঝবেন, আপনি শীতকালীন বিষণ্ণতায় আক্রান্ত:
১. সবকিছু থেকেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলা
২. দিনের বেশির ভাগ সময় অবসাদ লাগা
৩. আশাহত হওয়া
৪. ঘুম বেড়ে যাওয়া
৫. ক্ষুধামান্দ্য বা অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা
৬. হঠাৎ উত্তেজি♈ত হওয়া বা নিজে কাজে মন্থর হয়ে যাওয়া
এই অবস্থায় কী করতে পারেন
১. সকাল বা বিকেলে নিয়ম করে হাঁটতে পারেন। দিনের আলোতে হাঁটাহাঁটি করাটা ভালো। এতে পর্যাপ্ত আলো লাগবে আপনার শরীরে, যা আপনার এই বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
২. ইনডোর সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে পারেন।
৩. ভিটামিন ডি-যুক্ত খাবার খান। ভিটামিন ডি আপনার চিন্তা ও মানুষিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করবে। ডিম,মাশরুম এগুলোতে ভিটামিন ডি আছে।
৪. এ ছাড়া কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট যেমন হোল গ্রেইন খেতে পারেন, যা আপনার কর্মশক্তিকে বাড়িয়ে দিবে।
৫. ঘন সবুজ সবজি যেমন ব্রকলি ও কমলা রঙের সবজি, যেমন গাজর আপনাকে চাঙা করবে।
৬. দিনের কিছু সময় আলোতে কাটান। যেমন, আপনার যে জানালা দিয়ে পর্যাপ্ত আলো আসে, সেখানে আপনি ব্যায়াম করতে পারেন অথবা একটা আরামদায়ক চেয়ার রাখতেই পারেন, যাতে বসে পছন্দের বই পড়তে পারেন, কিছু লিখতে পারেন কিংবা গান শুনতে পারেন। সূর্যের আলোতেও কিন্তু ভিটামিন ডি থাকে।
৭. নিজের অনুভূতিকে জাগিয়ে তুলুন। উজ্জ্বল রং আপনার অনুভূতিকে প্রেরণা দেবে। তাই উজ্জ্বল রং রাখতেই পারেন আপনার পোশাকে কিংবা ঘড়ের দেয়ালে।
৮. নিজের মন ও আত্মাকে প্রতিপালন করুন। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান। কোথাও ঘুরে আসুন দল বেঁধে।
৯. অবস্থা বেশি খারাপ মনে হলে থেরাপিস্টে💧🌱র সাহায্য নিন। তিনি আপনার চিন্তাকে গঠনমূলক হতে সাহায্যে করবেন। নিজের প্রতি অনুকূল হতে এবং নিজের প্রতি যত্নশীল হতে সাহায্যে করবেন।
উ🤪ইন্টার ব্লুতে আক্রান্ত না থেকে, শীতকালট𓃲া উপভোগ করুন আর নতুন রঙে সাজান জীবনটাকে।
লেখক: ড. জেসমিন আহমেদ, কো-অর্ডিনেটর, এমপ্লয়ি হেলথ, স্কয়ার হাস💞পাতাল