• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সৌভাগ্য আনতে কুমিরকে বিয়ে করলেন মেক্সিকান মেয়র


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৩, ০৪:০৮ পিএম
সৌভাগ্য আনতে কুমিরকে বিয়ে করলেন মেক্সিকান মেয়র

মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলের চোন্টাল আদিবাসী-অধ্যুষিত সান পেড্রো হুয়ামেলুলা শহরের মেয়র ভিক্টর হꦰুগো সোসা। ঐতিহ্যবাহী এক অনুষ্ঠানে নগরবাসীর জন্য সৌভাগ্য আনতে মেয়ে কুমিরকে আঞ্চলিক রীতি-নীতি মেনে বিয়ে করেছেন।

রোববাꦉর (২ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধꦍ্যম ইন্ডিয়াটুডে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বিয়ে উপলক্ষে কুমিরটিকে ‘নববধূর’ সাজে সাজানো হয়। বিয়ের সাদা গাউন পরিয়ে, নাচ-গান করে, রীতিমতো বিয়ের নিয়ম মেনেই ‘অ্যালিসিয়া অ্যাড্রিয়ানা’ নামের কুমিরটিকে বিয়ে করেন মেয়র ভিক্টর হুগো সোসা। বিয়ের আগে দুর্ঘটনা এড়াতে কুমিরটির মুখ বেঁধে রাখা হয়। পরে তাকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার জন্য শহর মিলনায়তনে যাওয়া হয়।  উদ্দেশ্য-নগরবাসী যাতে তাকে দুই বাহুতে নিয়ে নাচতে পারে।

বিয়ের দিন কুমির কনেকে নিয়ে কনেযাত্রীরা বিয়ের আসরে পৌঁছান। বিয়ের রীতি মেনে কনেকে প্রথমে খাওয়াদাওয়া করানো হয়। সাজিয়ে দেওয়া হয় কনের সাজে। তার পর শুরু হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। বর-কনের চুম্বন পর্বটিও উপভোগ করেন সকলে। সবশেষে কনেকে কোলে তুলে নিয়ে শেষ হয়ಌ বিয়ের অনুষ্ঠান।

আচার-আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে স্থানীয় এক জেলে তার জাল ছুড়ে মারেন। তিনি সুর করে প্রার্থনা করেন। প্রার্থনায় বলা হয়, এ বিয়ের ফলে যেন ভালো পরিমাণ༒ মাছ ধরা পড়ে, যার মধ্য দিয়ে শহরে সমৃদ্ধি, ভারসাম্য ও শান্তি আসে।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার সময় মেয়র সোসা বলেন, “তিনি কনের দায়িত্ব গ্রহণ করছেন।ꦗ কারণ, তারা পরস্পরকে ভালোবাসেন। ভালোবাসাটা গুরুত্বপূর্ণ। ভালোবাসা ছাড়া বিয়ে করা যায় না... তিনি রাজকুমারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে রাজি আছেন।”

মেক্সিকোর সান পেড্রো শহরের বহু পুরনো রীতি মেনেই এই বিয়ে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির মিলনের ন♈িদর্শন হিসেবেই এই বিয়ের প্রথা চলে আসছে বহু দিন ধরেই।  প্রায় ২৩০ বছর আগে একটি বিয়ের মাধ্যমে এলাকাটিতে দুটি আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি এসেছিল। যার একটি আদিবাসী গোষ্ঠীর নাম চোন্টাল, অপরটি হুয়াভ। সেই ঘটনাকে স্মরণ করে এত বছর ধরে একজন পুরুষ মানুষের সঙ্গে একটি নারী কুমিরের বিয়ে হয়ে আসছে।

সে দেশে কুমিরকে ধরিত্রী মায়ের প্রতীক বলে মনে করা হয়। তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে হয় স্থ🐓ানীয় নেতাকে। সেই বছর যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়, সঠিক ভাবে চাষাবাদ হতে পারে— এ সব কারণেই বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়।

Link copied!