বাড়িতে বাড়িতে নাকি এখন ভুঁতুড়ে বিদ্যুত বিল আসছে। বিগত মাসের বিদ্যুত বিলের তুলনায় প্রায় কয়েকগুণ বেশি। সংসার খরচ সামলে নিতেই এখন হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এরমধ্যে অসহ্য গর𓆉মে একটু আরাম পেতে মাঝে মাঝে এসি চালিয়ে নিচ্ছে। তবে কি এসি চালানোতেই এই ভুঁতুড়ে বিল আসছে!
গরমে বাইরে বের হওয়ার অবকাশ নেই। আর ঘরে ঠিকে থাকাও যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষের অধিকাংশরাই এখন এসির দিকে ঝুঁকছেন। কোনোমতো খরচ সামলে এসি কিনে নিচ্ছেন। কিন্তু এসি কেনার পরও তো খরচ🌸ের শেষ নয়। বরং আরও পকেট কেটে আরও খরচ বাড়ছে। কারণ মাস শেষে বিদ্যুত বিলের কাগজ পেয়েই মাথায় হাত। কয়েকগুণ বেশি বিলের টাকা গুণতে হচ্ছে অনেককেই।
তবে এসি ব্যবহারের উপরও বিল কমবেশি হয়। আবার এসির ওজনের উপরও বিদ্যুত বিল নির্ভর করে। এক টনের এসির বিদ্যুত বিল আর দুই টন এসির বিদ্যুত বিলের মধ্যে পার্থক্য তো থাকবেই। তাই এসি কেনা বা ব্যবহারের আগে জেনে নিতে হবে যে কোন এসিতে কত পরিমাণ বিল 🥀আসতে পারে।
দেশের একটি ইলেকট্রিক পণ্যের এসি ইলেকট্রিসিটি বিল ক্যালকুলেশনের হিসেব থেকে জানা যায়, একটি দেড় টনের ইনভার্টার রেগুলার এসি ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় একটানা ৫০ মিনꦉিট করে প্রতিদিন আট ঘণ্টা চললে এক মাসে বিদ্যুৎ খরচ হবে ২৫৩ দশমিক ৪১ কিলোওয়াট। যার আনুমানিক বিল আসবে প্রায় ১ হাজার ৫৬৩ টাকার কিছু বেশি। নন-ইনভার্টার প্রযুক্তির এসির ক্ষেত্রে দেড় টনে ২ হাজা𒅌র থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা।
এক টনের একটি এ꧂সি একই সময় চল♌লে বিদ্যুৎ বিল আসবে প্রায় এক হাজার ৩০০ টাকার কিছু বেশি। একই সক্ষমতার নন-ইনভার্টার এসিতে বিল আসতে পারে দেড় হাজার টাকার মতো।
অন্যদিকে দুই টনের একটি এসি একই সময় চললে বিদ্যুৎ বিল আসবে প্রায় আড়াই হাজার টাকা। দুই টনে ৩ হাজার থেকে সাড়েꦆ ৩ হাজার টাকা, আড়াই টনে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা।
ইনভার্টার প্রযুক্তির আড়াই টনে ২ হাজার ৭০০ থেকে ২ হা🅰জার ৯০০ টাকা এবং তিন টনে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিল আসতে পারে। আবার নন ই🐽নভার্টার তিন টনে ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিল আসতে পারে।
কোম্পানিগুলো জানায়, ইনভার্টার প্রযুক্তিসম্পন্ন এসি প্রথমে পূর্ণ শক্তিতে চালু হয়। পরে ঘরের আরামদায়ক তাপমাত্রা ঠিক রেখে এসি নিজের শক্তি খরচ কমিয়ে দেয়। কম শক্তিতে চলার কারণে কম বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় এবং বিল কমে যায়। ইনভার্টার প্রযুক্তির এসিতে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করা সম্ভব। এসির অন্যতম প্রধান অংশ হলো ꦬকম্প্রেসর। ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরের স্থায়িত্ব বেশি দিন থাকে। তাই ১০ বছরের ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়। অন্যদিকে নন-ইনভার্ট💧ার এসির কম্প্রেসরে ৩ থেকে ৫ বছরের ওয়ারেন্টি।
এছাড়াও প্রতিবছরই সরকারী সিদ্ধান্তে বিদ্যুত বিল বাড়ছে। সেই অনুযায়ী এসি ব্যবহার ꦺকরꦰলে বাসায় মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারও বাড়বে। বেশি ইউনিট ব্যবহার করলে বিদ্যুতের দামও বেশি হবে। তাই সবমিলিয়ে বিদ্যুৎ বিল বেশি হয়।
এদিকে এসির বিদ্যুৎ খরচ কমাতে এর কার্যক্ষমতা ঠিক রাখা প্রয়োজন। দক্ষ টেকনিশিয়ান দ্বারা এসির বাষ্পীভবন ও কনডেনসার কয়েলের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। নিয়মিত এসির এয়ার ফিল্টার প🔥রিষ্কার করা জরুরি। রুমের প্রয়োজন অনুসারে সঠিক তাপমাত্রা নির্বাচন করতে হবে। এসি ‘স্লিপ মোড’ ও ‘টাইমার’ রয়েছে। ন⛎ির্দিষ্ট সময় পর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে এই উপায়ও কার্যকরী হবে।