সঙ্গী মানে তো সে-ই, যে সুখ-দুঃখের পরম ভাগিদার হওয়ার যোগ্য। যার ওপরে সকল অধিকার ফলানো যায় অনায়াসে। তাই কোনো কারণে আপনি 🧜খুব কষ্টে থাকলে সঙ্গীর হাত ধরুন। তাহলে এক নিমেষে 🦩সেই কষ্ট কমে যাবে। অন্যদিকে আপনার প্রিয়জন যদি খুব কষ্টে থাকে তাহলে তার কষ্ট কমিয়ে দিতে তার হাতটা ধরুন।
বিষয়টি শুনে অবাক লাগছে, কেনো আবার নতুন করে সঙ্গী নিয়ে এমন কথাবার্তা? কারণ, আজকাল সঙ্গীর সংজ্ঞা অনেকটাই বদলে গেছে। সম্পর্ক হলেই যে সবাই তার সঙ্গীর ওপর ভরসা রাখতে পারছে তা কিন্তু নয়। নানা বাস্তবতার কারণেও এটা হয়ে থাকে। তবে গবেষণা❀য় আবারও নতুন করে উঠে এসেছে কষ্টের সময় সঙ্গীর হাত ধরার কথা।
ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডোর বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে গবেষণা করেছেন। দেখা গিয়েছে, যখন আমরা আমাদের সঙ্গীর সঙ্গে নিজের মনের কথা, কষ্ট, যন্ত্রণার কথা 🎃ভাগ করি, তখন আমাদের মস্তিষ্কে এক প্রকার তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। যা সেই কষ্ট, যন্ত্রণাকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য সঙ্গীর ⛄স্পর্শ ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় জানা যায়, গবেষকরা ২৩-৩২ বছর বয়সী বেশ কয়েকটি জুটির মধ্যে এক বছর ধরে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সেই সমীক্ষাতে দেখা গেছে, কষ্ট, যন্ত্রণার সময়ে যে ব্যক্তি সঙ্গীকে স্পর্শ না করে তার সঙ্গে সময় কাটিয়েছে তাদের তুলনায় ꦬযে ব্যক্তি তার সঙ্গীর হাত স্পর্শ করে এবং আলাদাভাবে সময় কাটিয়েছে তার মন🥀ের কষ্ট অনেক কমে গেছে।
সমীক্ষায় আরও জানা যায়, স্পর্শ করা মাত্রই ব্যক্তির মস্তিষ্কে এক প্রকার তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, যা স্পর্শ না করলে হয় না। তাই গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছে সঙ্গীকে কষ্ট পেতে দেখলে শুধু তার সঙ্গে কথা না বলে তার হাত ধরতে হবে। তাকে স্পর্শ করলে 🅷তার কষ্ট কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তখন অনেকগুণ বেড়ে যাবে।