পবিত্র রমজান মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে। এরপরই ঈদুল ফিতর। ঈদের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। কেনাকাটার পাশাপাশি ঘর বাড়ি পরিস্কারের কাজও থেকে নেই। সাধারণত যেকোনো উৎসবের শুরুতেই ঘর পরিস্কার 🐎না করলে হয় না। এর মধ্যে রান্নাঘরকে নতুন করে সাজানোরও প্রস্তুতি থাকে। বিশেষ করে রান্নাঘরে থাকা ফ্রিজ ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয় ঈদের আগেই। কেননা ঈদের সময় হরেক পদের রান্না করা হয়। পরিষ্কার ফ্রিজে এসব রান্না করা খাবার তুলে রাখতে হয়। তাই ঈদের আগেই তড়িঘড়ি করে ফ্রিজটি পরিস্কার করে নেন অনেকে। ঈদের আগে নানা কাজের ব্যস্ততা তো থাকেই। এরমাঝেই ঝটপট ফ্রিজ পরিস্কার করে নিতে হবে। কিছু উপায় জানলে ফ্রিজ পরিস্কার করা ঝামেলাই মনে হবে না। চলুন জেনে নেই ফ্রিজ পরিস্কার করার কিছু টিপস।
- ফ্রিজ পরিষ্কার করার আগে পুরোনো খাবারগুলো বের করে খেয়ে নিন। কিংবা ফ্রিজ পরিস্কারের দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে খাবারগুলো বাইরে বের করে রাখুন।
- যেদিন ফ্রিজ পরিষ্কার করবেন তার আগের দিন বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে রাখুন। ফ্রিজের ভেতরে থাকা বরফ গলে যাবে। ভেতরের ঠাণ্ডাও স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।
- ফ্রিজের পেছনে ও নিচে থাকা কয়েল পরিষ্কার করুন। নরম ঝাড়ু দিয়ে প্রথমে কয়েলের ধুলা পরিষ্কার করে নিন।
- ফ্রিজের ভেতরে পরিষ্কারের জন্য বেশি পানি ব্যবহার করবেন না। সামান্য ডিটারজেন্ট ভিজিয়ে একটি কাপড় দিয়ে ফ্রিজ পরিস্কার করে নিন। ফ্রিজের কোনা কোনা পরিষ্কার করুন। মাছ-মাংসের রক্ত জমে থাকলে তা বের করে নিন। এরপর ডিটারজেন্টের পানি দিয়ে মুছে নিন।
- ফ্রিজ পরিস্কারের জন্য খসখসে কাপড় ব্যবহার করবেন না। নরম কাপড় দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করুন।
- ফ্রিজের কোণে রাবার থাকে। যা দীর্ঘ সময় পরিষ্কার না করায় আঠালো হতে পারে। পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে রাবার পরিস্কার করে নিন।
- ফ্রিজে দুর্গন্ধ হয়ে গেলে পানিতে বেকিং সোডা ও লেবুর রস মিশিয়ে মুছে নিন। আবার লেবু অর্ধেক করে কেটে ঘষে পরিস্কার করে নিতে পারেন। এতে ফ্রিজের দুর্গন্ধ চলে যাবে।
- ভেজা কাপড় দিয়ে কয়েকবার ফ্রিজ মুছে নিন। এরপর টিস্যু দিয়ে ভেজা জায়গাগুলো শুকনো করে মুছে নিতে হবে।
- ফ্রিজ পরিষ্কার হয়ে গেলে বৈদ্যুতিক সংযোগ চালু করে এক বোতল ঠাণ্ডা পানি রাখুন। দুই ঘণ্টা পর খাবারগুলো ফ্রিজে তুলে রাখতে পারেন। দেখবেন ফ্রিজ নতুনের মতো চকচক করছে।