কখনো আর্থিক চাপ, কখনো সময় দিতে না পারা, কখনো আবার সম্পর্কে তৃতীয় কোনো মানুষের উপস্থিতি—এসব নানা কারণে সম্পর্কে ভুল-বোঝাবুঝি লেগেই থাকে, ঝগড়াও হয়। একসঙ্গে সংসার পাতানো দুটি মানুষের ভালোবাসা ও যত্নের ক্ষেত্রটিও যান্ত্রিক হয়ে ওঠে কখনো কখনো। কেবল অভ্যাসের পালে হাওয়া দিয়েই বছরের পর বছর একটা সম্পর্ক বয়ে বেড়াতে বাধ্য হন অনেক দম্পতি। কোনো কোনো ক্ষ🥂েত্রে এমনও হয়, একাই সম্পর্কের ভার টেনে যাচ্ছেন, সঙ্গীর কোনো সাহায্য পাচ্ছেন না! কিন্তু এত সবের পরেও সম্পর্কে উষ্ণতা ফিরিয়ে আনা জরুরি। আপনার সঙ্গেও যদি এমনটা হয় তাহলে জেনে এর থেকে মুক্তির কিছু উপায়—
ব্যক্তিগত সময় ভাগ করে নিন
মাঝেমধ্যে সম্পূর্ণ একা সময় কাটাতে চাওয়াটা দোষের নয়। সম্পর্কে থেকেও সেই সময় বের করে নেওয়া যায়। কিন্তু এই একা সময় কাটানোর ইচ্ছেটা যদি অভ্যাসে পরিণত হয়, সম্পর্কে জড়ালে ত🦩া বদলাতে হবে। 𝄹সারাক্ষণই একা থাকতে চাওয়ার অভ্যাসে আপনার সম্পর্কের জন্যও ক্ষতিকর। তাই একে অপরকে সময় দিন। পরস্পরের সান্নিধ্যে খুঁজে নিন জীবনের আনন্দ। একে অপরের সঙ্গে প্রাণ খুলে কথা বলুন।
সম্পর্ক থেকে ইগো সরিয়ে রাখুন
সম্পর্কে জড়ালে ইগোকে কিছুটা বিসর্জন দিতে হয়। এমনিতেই অকারণ ইগো জীবনে ক্ষতিই করে। সঙ্গীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিও বাড়তে পারে এতে। কোনো বিষয়ে মতের অমিল হলে নিজে এগিয়ে মিটমাট কর𝓰ে নিন। সম্পর্কের শুরুতে আপনি উদারতা দেখাতে পারলে আজীবন সঙ্গীও এই সম্মান করতে শিখবে। কোনো কারণে রাগ বা অভিমান হলে অন্তর্মুখী স্বভাবের মানুষ হলেও খারাপ বা ভালো লাগা প্রকাশ করুন। লক্ষ রাখুন নিজের নানা কাজ ও কথায় ভালোবাসাও যেন প্রকাশ পায়।
ভালোবাসা প্রকাশ করুন
বিয়ের পর প্রথম প্রথম একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করলেও, সম্পর্ক যত পুরোনো হয়, 🧜ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ততই কমতে থাকে। এই প্রবণতা মোটেও ভালো না। বিশেষ দিনগুলোতে সঙ্গীর জন্য কিছু বিশেষ পরিকল্পনা করুন। একটা আলিঙ্গন, হাতে হাত রেখেও কিন্তু বিশেষ মুহূর্ত উদ্যাপন করা যায়!