১৯৭১ সালে দেশকে স্বাধীন করার তাগিদে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন বাংলার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হিংস্র থাবা থেকে ছিনিয়ে এনেছেন বাংলার স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে আপনার সন্তানকে স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে জানান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা অনুপ্রেরণামূলক বই ও সিনেমা তাদের কাছে তুলে ধরুন। তাতে আজকের প্রজন্ম দেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। দেশের জন্য এই দায়বোধ তৈরি করে দেওয়াটাও একজন অভিভাবক হিসেবে আপনার কর্তব্য। চলুন তবে জেনে নিই দেশপ্রেমের সহায়ক হিসেবে কী কী বই ও সিনেমা হতে পার🅺ে শিশুদের জন্য।
মুক্তিযুদ্ধের বই হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ পড়ে যুদ্ধকালীন সময়টাকে অনু🔴ভব করাতে শেখাবে। শহীদজননী জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’তে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তার দুঃস্বপ্নভরা বিভীষিকার মধ্যে ত্যাগ ও সক্রিয়তা, মুক্তিযুদ্ধে সন্তানবিয়োগের যাতনার ভেতর দিয়ে দেশপ্রেমের উদাহরণ সম্পর্কে জানতে পারবে।
বীর উত্তম এ কে খন্দকারের ‘ভেতরে-বাইরে’ তুলে দিতে পারেন আপনার সন্তানের হাতে। অধ্যাপক নীলিমা ইব্রাহিমের ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ বইটিতে সাতজন বীরাঙ্গনা নারী সম্পর্কে জানতে পারবে। সুফিয়া কামালের ‘একাত্তরের ডায়েরী’তে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের নানা মুহূর্তগুলো উঠে এসেছে। এছাড়া পড়াতে পারেন পারেন হুমায়ূন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়েꦇ উপন্যাস ‘জোছনা ও জননীর গল্প’।
মুক্তিযুদ্ধের ওপর নানা প্রেক্ষাপট নিয়ে তৈরি সিনেমাও দেখাবেন আপনার সন্তানকে। যেমন ‘আমার বন্ধু রাশেদ’, ‘🌜আগুনের পরশমণি’, ‘গেরিলা’, ‘এ🏅কাত্তরের যীশু’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’।