জন্মের পর থেকে বছর ঘুরলেই ব☂য়সও বাড়ে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। এই নিয়মের মধ্যেই পৃথিবীতে থাকা প্রাণীরা বেড়ে উঠছে। বাড়ছে বয়স। একসময় বুড়ো হচ্ছে। এরপর জীবনের শেষ মুহূর্ত চলে আসে। জীবনচক্রে এটি স্বাভাবি⛄ক ঘটনা।
কিন্তু জানেন তো, এই বিশ্বে অসম্ভব বলে কিছু নেই। বয়স বাড়ার এই জীবনচক্রও থমকে যেতে পারে কারও কারও জীবনে। হ্যাঁ, 🃏পৃথিবীতে এমনও প্রাণী রয়♌েছে যার বয়স বাড়ে না। উল্টো কমে। আর তা নির্ভর করে স্বয়ং সেই প্রাণীর ওপরই।
বয়স তো কেবꦦলই একটা সংখ্যা!- মানুষের মুখে এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। ইশ, সত্যিই এমন যদি হত, একটা বয়সের পর আবার ফিরে আসা যেত?- এমন বাসনাও থাকে অনেকের মনে। তবে এই বাসনাই কোনো প্রাণীর জীবনচক্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হয়- তা জেনে নিশ্চয়ই অবাক হবেন!
পৃথিবীর বুকে এক সামুদ্রিক প্রাণী রয়েছে, যার বয়স কমের দিকে এগুতে থাকে। স💎মীক্ষায় বলা হয়েছে, এই সা🍃মুদ্রিক প্রাণীর জীবনচক্র উল্টে দেওয়ার ক্ষমতা থাকে। এটি হচ্ছে আটলান্টিক কম্ব জেলি। যা ‘সামুদ্রিক আখরোট’ বা ‘সমুদ্রের বাদাম’ নামেও পরিচিত। এটি টেন্টাকুলেট সেনটোফোর (কম্ব জেলি) এর একটি প্রজাতি। যা ইউরোপীয় এবং পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে একটি আক্রমণাত্মক প্রজাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এর🐭াই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে জীবনের আগের পর্যায়ে ফিরে যেতে পারে। এটি বর্তমান সময়ে ভূমধ্যসাগর, বাল্টিক এবং উত্তর সাগরের পাশাপাশি কালো এবং কাস্পিয়ান সাগরে পাওয়া যায়।
আটলাꦑন্টিক কম্ব জেলির খাদ্যের অভাব হলে বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে বয়স উল্টে নিতে পারে। তারা পিছনের দিকে বিকশিত হয়। জেলটিনাস নন-মেরুদন্ডী শরীরকে তার লার্ভা আকারে রূপান্তরিত করে। এর প্রাপ্তবয়স্ক রূপটি স্বচ্ছ ফুসফুসের একটি ক্ষুদ্র জোড়ার অনুরূপ এবং ফিলামেন্টগুলো থাকে না।
বিজ্ঞানীরা এই প্রাণীর জীবনচক্রের ওপর গবেষণা চালান। তারা চিরুনি জেলির এক দলকে ক্ষুধার্ত রাখেন। তাদের লোব থেকে টিস্যু সরিয়ে অন্যটিকে আঘাত করেন। কিন্তু সামুদ্রিক আখরোট বেঁচে ছিল। প্রাণীটি ছোট ছোট দাগে কুঁচকে যায়।✅ এরপর বিজ্ঞানীরা প্রাণীগুলোকে খাইতে দেয়। যেখানে ৬৫টি চিরুনি জেলির মধ্যে ১৩টি ফিলামেন্ট তৈরি করে। যা থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় তারা তাদের লার্ভা পর্যায়ে ফিরে গেছে।
অবশেষে, প্রাণীগুলো আবার তাদের আসল আকারে ফিরে যায়। তাদের লবগুলোও ফিরে আসে। গবেষণার ফলাফল শে𝕴ষে বিজ্ঞানীরা জানান, সামুদ্রিক আখরোট আবার পুনরুত্পাদন করতে সক্ষম হয়। যা প্রমাণ করে দেয়, পৃথিবীর বুকে এটাই একমাত্র প্রাণী যারা নিজেদের বয়স নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং কখনও বয়স বাড়ে না!