আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করে ভারত যাওয়ার পর থেকে দেশব্যাপী নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে দলীয় বৈঠক ডাকেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্💎𒆙দ্র মোদি। সে বৈঠকে বাংলাদেশের বিষয়ে ব্রিফিং দিয়েছে দেশটি।
মঙ্গলবার🅷 (৬ আগস্ট) বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন ভারতে🃏র পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে জয়শঙ্কর বলেন, “এটি একটি চলমান🐟 ঘটনা। বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার একটি সর্ব🎐দলীয় বৈঠক আহ্বান করেছে।”
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নয়াদিল্লি বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে যᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিক ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা যাতে নিরাপদ থাকে, সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
এই বৈঠকে জয়শঙ্করে🙈র পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু অংশ নেন।
ইতোমধ্যে প𒉰্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গেও আলাদা করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক♛ করেছেন জয়শঙ্কর।
এর আগে সোমবার (৫ আগস্ট) ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থা🐼♓নের মুখে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি লকহিড সি১৩০জে হারকিউলিস উড়োজাহাজে চেপে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
বিকাল ৫টা বেজে ৩৫ মিনিটে উত্তর প্রদেশের গাজি য়াবাদের হিন্ডন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণের পর সন্ধ্যায় ভারতের মুখ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা ꦉঅজিত ডোভাল হাসিনার সঙ্গে🌞 দেখা করেন।
হাসিনা ভারতে পৌঁছানোর পর রাতেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্ত💖াবিষয়ক কমিটির জ🌱রুরি বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আয়ജোজিত এই বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রিন্সিপাল সচিব পিকে মিশ্র, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) প্রধান রবি সিন্হা এবং গোয়েন্দা বিভাগের (আইবি) পরিচালক তপন ডেকা।
ভারতের♋ একাধিক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ভ🅷ারতে থাকবেন না। তাকে সাময়িকভাবে ভারতের অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি সরকারের কাছ থেকে যথোপযুক্ত লজিস্টিক সহায়তা পাবেন।
ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহা🃏না যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন। তবে এখনো যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে সাড়া পাননি তিনি।এ বিষয়টির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তিনি ভারতে অবস্থান করবেন বলেই ভাবছেন ভারতের বিশ্লেষকরা।