• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


তিস্তার পানি নিতে আরও দুটি খাল খনন ভারতের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৩, ১২:১৪ পিএম
তিস্তার পানি নিতে আরও দুটি খাল খনন ভারতের

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সেচ বিভাগ🌊 কৃষিকাজের জন্য তিস্তা নদী থেকে পানি সরিয়ে নিতে ‘তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের’ আওতায় আরও দুটি খাল খননের জন্য প্রায় এক হাজার একর 💧জমি পেয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৩ মার্চ) 𓃲জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সেচ বিভাগের কাছে জমির মালিকানা হস্তান্তর করেছে। ফলে এখন থেকে শুষ্ক মৌসুমে সেচের জন্য আরও কম পানি পাবে বাংলাদেশ।

এই পদক্ষেপের ফলে ভারতের জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় আরও অধিকসংখ্যক জমি সেচের আওতায় আসবে। কিন্তু তাদের এই উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশের উত🗹্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে শুষ্ক মৌসুমে সেচের জন্য পানির আরও সংকট তৈরি হবে। উত্তরাঞ্চলের পানি সংকট নিরসনে এক দশকের বেশি সময় ধরে ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের উপস্থিতিতে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন প্রায় এᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚক হাজার একর জমির মালিকানা সেচ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করꦕেছে। এই জমি তিস্তার বাঁ তীরে দুটি খাল তৈরি করতে প্রশাসনকে সহায়তা করবে। জলপাইগুড়ি জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আরেক নদী জলঢাকার পানিও সেচের জন্য খালের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া যাবে।

সেচ বিভাগের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফ বলেছে, “পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিস্তা এবং জলঢাকা থেকে পানি সরিয়ে নেও꧒য়ার জন্য কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল খনন করা হবে। তিস্তার বাঁ তীরে নির্মিত হবে আরও একটি খাল; যার দ🦩ৈর্ঘ্য হবে ১৫ কিলোমিটার।”

প্রশাসনিক সূত্র বলেছে, খাল দুটি খনন করা হলে প্রায় এক লাখ কৃষক সেচের সুবিধা পাবেন। ব্যারাজটি জলপাইগ𒀰ুড়⛦ি জেলার গজলডোবায় অবস্থিত।

পশ্চিমবঙ্গের একজন কর্মকর্তা বল𓆉েছেন, খালের মাধ্যমে মোট কত পরিমাণ জমি উপকৃত🍒 হবে, তা সেচ বিভাগ যথাসময়ে মূল্যায়ন করবে।

১৯৭৫ সালে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প উত্তরবঙ্গের ৯ লাখ ২২ হাজার হেক্টর কৃষিজমি সেচ সুবিধার আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়ে চালু করা হয়েছিল। তিস্তা থেকে নদীর উভয় তীরের খালের জমিতে পানি সেচের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ওই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অন্যান্য নদীর পানিও খালে সরবরাহের সিদ𝐆্ধান্ত হয়।

তবে কয়েক দশক ধরে এই 🦋প্রকল্পটি নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এর মাধ্যমে মাত্র ১ লাখের কিছু বেশি হেক্টর জমিতে♒ পানি পৌঁছাতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক শুক্রবার বলেছেন, “জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন খাল খননের জন্য আমাদের কাছে ১ হাজার একর জম💝ি হস্তান্তর করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার এটিকে জাতীয় প্রকল্প হিসাবে ঘোষণা করলেও (২০০৯ সালে) তহবিল সরবরাহ করছে না। আমরা তহবিল না পেলেও পর্যায়ক্রমে (খালের নেটওয়ার্ক তৈরির) কাজ শেষ করার চেষ্টা করব।”

শিলিগুড়ির নর্থ বেঙ্গল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ✤বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেছেন, মমতার সরকার এখন সেচ প্রকল্পের পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। ফলে তিস্তা থেকে আরও অধিক পরিমাণে পানি নতুন খালগুলোর মাধ্যমে প্রবাহিত হবে, সেটা স্পষ্ট। এর ফলে শুষ্ক মৌসুমে কম পানি পাবে বাংলাদেশ।

Link copied!