• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


পাকিস্তানের পর এবার জার্মানিতে গাঁজা চাষে জোয়ার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম
পাকিস্তানের পর এবার জার্মানিতে গাঁজা চাষে জোয়ার
জার্মানিতে গাঁজা বৈধ। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের পর এবার গাঁজা শ꧋িল্পে জোয়ার এসেছে ইউরোপের দেশ♔ জার্মানিতে। মাস কয়েক আগে গাঁজা বৈধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চাষিরা হন্যে হয়ে বীজের সন্ধান করছেন। বীজ বিক্রি নিয়ে জার্মানদের মধ্যে কিছুটা আইনি ধোঁয়াশা থাকায় বিদেশি সিডব্যাংকগুলোর দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা।

🍷বার্সেলোনাভিত্তিক সিডব্যাংক রয়্যাল কুইন সিডস বলছেন, “জার্মানিতে গাঁজা আংশিক বৈধ হওয়ার পর আমরা একদিনে ১০ হাজার ২৩১টি অর্ডার পেয়েছি। বর্তমানে দৈনিক তিন থে𒊎কে চার হাজার অর্ডার আসছে।

গাঁজার বীজ বিক্রি করা নেদারল্যান্ডভিত্তিক জ🐻্যামনেসিয়ার জার্মান ক্রেতার সংখ্যা অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে গেছে। কোম্পানির মহাব্যবস্থাপ🐷ক নিক এভ বলেন, “সাধারণত চাষের মৌসুমে বীজের চাহিদা ৩০ শতাংশ বাড়লেও এ বছর গাঁজার বীজের চাহিদা বেড়েছে ১৫০ শতাংশ”।

এদিকে, গাঁজাচাষীদের কথা মাথায় রেখে নতুন পণ্য সরবরাহ শুরুর পর হর্টিকালচারের বিভিন্ন উপকরণ সরব🦋রাহকারী প্রতিষ্ঠান কম্পোর ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছে। গাঁজা চাষের জন্য কোম্পানিটির বিশেষ মাটি ও সার বিক্রি প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি ছাড়িয়ে গেছে।

তথ্যমতে, জার্মান সরকার গত এপ্রিল থেকে গাঁজাকে আংশিকভাবে বৈধ করেছে দেশটিতে। ফলে ব্যক্তিগত ব্যবহারে একজন ব্যক্তি তিনটি পর্যন্ত গাঁজার চারা লাগাতেꦑ পারবেন। যারা চাষ করতে পারবেন না বা ইচ্ছুক নন, কিন্তু বৈধভাবে গাঁজার নাগাল পেতে চান, তারা আগামী ১ জুলাই থেকে সংশ্লꦉিষ্ট সামাজিক ক্লাবগুলোতে যোগ দিতে পারবেন।

তবে বৈধকরণের ফলে জার্মানিতে গাঁজার ব্যক্তিগত ব্যবহারের চেয়ে চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহার আরও বেশি বাড়তে পারে। এখন থেকে রোগীরা আগের চেয়ে সহজে🗹ই তাদের প্রেসক্রিপশনে গাঁজা পাবেন। এ♔র আগে গার্হস্থ্য পদ্ধতিতে ঔষধের জন্য গাঁজার বাণিজ্যিক উৎপাদন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হলেও বৈধকরণের পর এ অবস্থারও পরিবর্তন হতে যাচ্ছে।

বর্তমানে জার্ম𒁏ানিতে কেবল ডিমক্যান নামক একটি কোম্পানির চিকিৎসার জন্য গাঁজা চাষের লাইসেন্স রয়েছে। নতুন আইনের পর প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তারা বছরে ৬০০ কেজি উৎপাদন থেকে বাড়িয়ে দুই টন করতে চায় বলে জানিয়েছেন একজন মুখপাত্র।

শীর্ষস🐼্থানীয় মেডিক্যাল জার্নাল ‘ল্যানসেট’ এর একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, জার্মানিতে গার্হস্থ্য পদ্ধতিতে গাঁজা🃏 উৎপাদন ও বিতরণের জন্য নতুন লাইসেন্স দেওয়া হবে। ফলে গাঁজার বাজার আরও উন্মুক্ত হবে, বাড়বে প্রতিযোগিতা। ফলে গাজা শিল্প আরও বেশি শক্তিশালী হবে।

প্রসঙ্গত, গাঁজা বাণিজ্যের বৈধ ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করছে পাকিস্তান। প্রায় চার বছর আগে দেশটি শিল্পখাতে গাঁজা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে বিকাশমাജন বাজারের সুযোগ নিতে চাইছে দেশটি। ফলে গাজাভিত্তিক অর্থনীতির দিকে ঝুঁকে পড়ছে দেশটি।  

Link copied!