মধ্য এশিয়ার দেশ কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবনগুলোতে দলবেঁধে হামলা চালিয়েছে স্থানীয়রা। ওই হামলায় আহত হয়েছেন বহু শিক্ষার্থী। হামলার শিকাဣর হোস্টেলগুলোতে ভারত, পাকিস্তান ছাড়াও রয়েছে বিপুল সংখ্যক বাংলা﷽দেশি শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (১৭ মে) মধ্যরাতে কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে শত শত কিরগিজ পুরুষ বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবনগুলোতে হামলা 💞চালায়। তাৎক্ষণিক খবরে হামলায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়𝔍েছে বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে পাকিস্তানি নাগরিকও রয়েছেন। তবে এসব হামলায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবনগুলোতে গণহারে এমন হামলার ঘটনায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে বিশকে𒆙কে। এ অবস্থায় নিরাপত্তা শঙ্কায় সেখানে বসবাসরত নিজ নিজ নাগরিকদের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ভারত ও💦 পাকিস্তান।
অবশ্য কিরগিজ পুলিশ বলছে, তারা সহিংসতা দমনে রাজধানীতে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করেছে। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত থাকলেও যে কোনো সময় আবার হামলার আ🥃শঙ্কা রয়েছে।
শনিবার (১৮ মে) পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাতে ডন জানিয়েছে, শুক্রবার মধ্যরাতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো হামলায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাকিস্তানি নাগরিকও রয়েছেন। ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন মপাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। দূতাবাস থেক꧙ে পাকিস্তানে শিক্ষার্থীদের ঘরেᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে🎉 জানা গেছে, কিরগিজস্তানে বসবাসরত ভারতীয় ♍শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকতে এবং দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতীয় কনস্যুলেট ‘এক্সে’ জানিয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত হলেও শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যেকোনো সমস্যায় দূতাবাসকে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
কীভাবে সূত্রপাত
একদল মিশরীয় শিক্ষার্থীর সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ভিডিও গত ১৩ মে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে কিরগিজ রাজধানীতে বেশ কিছু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ও বেসরকারি আবাসনে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এসব হোস্টেল ও 🧸ভবনে মূলত বিদেশি শিক্ষার্থীর🎉া বসবাস করেন।
ব⭕িশকেকে মুহাম্মদ তাকি নামে এক পাকিস্তানি মেডিকেল শিক্ষার্থী ডনকে বলেছেন, স্থানীয়রা রাতভর ছাত্র ও ছাত্রীদের হোস্টেলে আক্রমণ চালিয়েছে। পরিস্থিতি এখন ঠান্ডা থাকলেও তারꦿা দ্বিতীয়বার হামলার আশঙ্কা করছেন। ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্টে শিক্ষার্থীদের মৃত্যু ও ধর্ষণের দাবি করা হয়।
ফেসবুকের এক পোস্টে শিক্ষার্থীরা বলেছে, বিশকেকে হামলার শিকার আবাসিক ভবন ও হোস্টেলগুলোতে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছে। সেই সহিংসতা সব 𝐆বিদেশি শিক্ষার্থীকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হඣয়েছে।