জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে পর্যায়ক্রমে সরে আসার বিষয়ে একমত হয়েছে কপ সদস্যদেশগুলো। কপ–২৮ সম্মেলনের ই🌜তিহাসে এ নিয়ে সদস্যদেশগুলো প্রথমবারের মতো একমত হলেও, পুরোপুরি সন্তুষ্ট হননি অনেক জলবায়ু বিজ্ঞানী।
বার্তাসং🐲স্থা এএফপি বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে কপ সম্মেলনের ২৮ তম আসর শুরু হয়। সম্মেলনের শেষ দিন মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার বিষয়ে 🐬চূড়ান্ত চুক্তিতে প্রায় ২০০টি দেশ একমত প্রকাশ করে। তবে সৌদি আরবসহ জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশগুলো এ ধরন🅠ের চুক্তির বিরোধিতা করে আসছিল।
জীবাশ্ম 𓆉জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ নিয়ে চুক্তিতে অস্পষ্টতা রয়েছে বলে মনে করেন ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার জলবায়ু বিশেষজ্ঞ মাইকেল মান। যেমন কোন কোন দেশকে কত⛄ সময়ের মধ্যে জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে তা চুক্তিতে নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা নেই। মাইকেল মান বলেন, “চুক্তিটি অনেকটা ডায়াবেটিকস ধরা পড়ার পর চিকিৎসকের কাছে ডোনাট খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার কথা দেওয়ার মতো। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমাতে চুক্তিতে বিপর্যয়কর ঘাটতি রয়েছে।”
মাইকেল কপ সম্মেলনের নিয়মনীতিতে🐼 সংস্কার আনার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সৌদি আরবের মতো তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর বাধার মুখে সংখ্যাগরিষ্ঠদের জলবায়ু রক্ষায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। এ ছাড়া তেল উৎপাদন ও ব্যবসায়ে জড়িতরা যেন ভবিষ্যতে কপ সম্মেলনগুলোতে সভাপতিত্ব না করে তাও দেখতে হবে।
ইউনির্ভাসিটি অব ম্যানচেস্টারের জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তনের অধ্যাপক কেভিন অ্যান্ডারসনও চূড়ান্ত চুক্তিতে ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, “চুক্তিতে উল্লেখ না থাকলেও, ২০২৪ সাল থেকে কার্বন নিঃসরণ কমা শুরু করলেও, আমাদের ২০৪০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে। 🦂চুক্তিতে ২০৫০ সাল নাগাদ এই জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের যে প্রতারণাপূর্ণ ভাষায় কান দিলে হবে না।”
কপ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট সুলতান আল-জাবের আমিরাতের জাতীয় তেল কোম্পানির প্রধান। এই সম্মেলনে তার ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে সংশয়ের মধ্যে ছিলেন পরিবে🐼শবাদী। এ ছাড়া তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানির বিষয়টি চুক্তিতে রাখার বিরোধিতা করেছিল।