কপ সম্মে📖লনের এবারের আসরে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে পর্যায়ক্রমে সরে আসার বিষয়ে একমত হয়েছে প্রায় ২০০টি দেশ। প্রথমবারের মতো বিশ্বে এ ধরনের আহ্বানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারকে প্রধানত দায়ী করা হয়।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিব♕েদনে এ তথ্য জানায়।
গত ৩০ নভেম্𒁏বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে শুরু হয় জাতিসংঘের কনফারেন্স অব পার্টিজ (কপ)-২৮ সম্মেলন। চূড়ান্ত চুক্তিতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের বিষয়ে একমত হতে এ 𒁏সম্মেলন মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত গড়ায়।
শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে একমত হওয়ার ঘোষণা দিতে পেরেছে আয়োজক দেশ আমিরাত। কপ-২৮ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট সুলতান আল-জাবের বলেন, “আপনারা এগিয়ে এসেছেন, আপনারা নমনীয়তা দেখিয়েছেন, আপনারা নিজেদের স্বার্থের চেয়ে 🌞অভিন্ন স্বার্থকে এগিয়ে রেখেছেন।”
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের বিষয়ে চুক্তির প্রথম খসড়ার ভাষা কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে। কিন্তু পরবর্তী 🥂সময়ে আরও শক্ত ভাষায় বলা হয়, ”বিজ্ঞানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২০৫০ সাল নাগাদ গ্যাস নির্গমনে ভারসাম্য আনার লক্ষ্য অর্জনের চুক্তিটি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে ন্যায্য, সুশৃঙ্খল ও ন্যায়সংগতভাবে সরে আসার।”
কপ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট সুলতান আল-জাবের আমিরাতের জাতীয় তেল কোম্পানির প্রধান। এই সম্মেলনে তার ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে সংশয়ের মধ্যে ছিলেন পরিবেশবাদী। এ ছাড়া তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো জ♕ীবাশ্ম জ্বালানির বিষয়টি চুক্তিতে রাখার বিরোধিতা করেছিল।
পৃথিবী বদলে দেওয়ার মতো পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে নিজেদের এ ভূমিকার জন্য আমিরাত গর্বিত বলে জানান কপ প্রেসিডেন্ট। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির সীমা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার প্রতি ইঙ্গিত করেন তিনি। তিনি বলেন, “বিশ্বের একটি নতুন পথ খুঁজে বের করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছি𒅌ল। আমরা সে পথ খুঁজে পেয়েছি।”
জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের ২৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম জীবাশ্ম জ্বালানির বিষয়ট🐲ি চুক্তিতে উল্লেখ করা হলো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ুবিষয়ক প্রধান ওপকে হোয়েকস্ট্রা বলেন, “৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সম্ভবত আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির শেষের শুরুতে পৌঁছাতে পেরেছি।”