ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআরসি) এক গ্রামে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলায় ৩০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় হতাহত হয়েছে অনেক। স্থানীয় সময় শ▨ুক্রবার উগান্ডার থেকে উত্তর-পূর্ব সীমান্তের একটি এলাকা ইটুরি প্রদেশে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা 🎶এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলায় ৩০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় হতাহত হয়েছে অনেক। ২০১৭ সাল থেকে প্রায়ই এই এলাকায় বসবাসরত সম্প্রদায়ের উপর নিয়মিত আক্রমণ হয়ে থাকে।
স্থানীꦆয় সিভিল সোসাইটির প্রধান চ্যারিটে বানজা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, শুক্রবারের হামলায় নারী ও পুরুষ মিলে প্রায় ৩০ জন নিহত হয়েছে। সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং সম্পত্ত🤪ি লুট করে।
এদিকে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যে মৃতের সংখ্যা ৪০ জন ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া ইনোসেন্ট মাতুকাদালা নামে একজন আঞ্চলিক প্রশাসক স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোকে, যে কিলো ইটাত শহরে ৩৬টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে এবং মেটেতে আটটি আর ইটেনডিতে আরো কিছু🐬 মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
ওই এলাকার আরেক নাগরিক সমাজের নেতা রবার্ট ꦓবাসিলোকো এএফপিকে বলেন, “এ সন্ত্রাসী হামলায় পাঁচ শিশুসহ ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিদিনই মৃত্যু হচ্ছে। আমরা এতে ক্লান্ত।”
রয়টার্স এবং এএফপির সূত্র অনুযায়ী, দেশটির পুলিশ ‘কো-অপারে꧒টিভ বা কোডেকো’ নামে মিলিশিয়াদের একটি গ্রুপকে হামলার জন্য দায়ী বলে ধারণা করছে।
জাতিꦺসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সহিংসতা এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে গত ছয় বছরে কঙ্গোর ইটুরি প্রদেশে আনুমানিক ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
স্বর্ণ ও তেলের খনি সমৃদ্ধ ইটুরির প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে লে🐼ন্দু এবং হেমা জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। সেইসাথে এ অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ নিতে এ দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। ৯০ এর দশকে শুরু হওয়া সহিংসতা কয়েক দশক ধরে চলমান রয়েছে।