• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ১৩৩


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৩, ১১:২৭ এএম
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ১৩৩

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৩ জনে। নিহতদেꦛর মধ্যে অনেক নারী ও শিশুও রয়েছে। সেনা শাসনের বিরোধীদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া এসব মানুষের ওপর গত মঙ্গলবার বোমা হামলা চাল🌜ায় সামরিক বাহিনী।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে🧜 এ খবর জানিয়েছে।

দেশটির ছায়া জ🍸াতীয় ঐক্য সরকারের মানবাধিকারমন্ত্রী অং মিও মಞিন জানিয়েছেন, সামরিক জান্তার বিমান হামলায় নারী, শিশুসহ অন্তত ১৩৩ জন নিহত হয়েছেন। হামলায় আরও ৫০ জন আহত হয়েছেন। এমনকি হামলার পর চিকিৎসাকর্মীদের হামলাস্থলে পৌঁছাতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য হামলার পর প্রাথমিক রিপোর্টে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫০ বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পরে বুধবার দেಌশটির স্বাধীন মিডিয়ার রিপোর্টে নিহতের সংখ্যা বেড়ে✤ প্রায় ১০০ জনে উন্নীত হয়েছে বলে জানানো হয়। আর এবার সেই সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ১৩৩ জনে।

প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “স্ꦬথানীয়ভাবে গঠিত সরকারবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং অন্যান্য বিরোধী সংগঠনের নেতারাও সেনাไবাহিনীর এই বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।”

অন্যদিকে আল-জাজিরা প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলছে, মঙ্গলবারের হামলায় কয়েক ডজন লোক নিহত হয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে এটি অন্যত🍌ম প্রাণঘাতী হা📖মলা।

এ ব্যাপারে আরও তথ্য জানতে ক্ষমতাসীন জান্তা মুখপাত্রদের💞 স🌠ঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, কিন্তু কোনো মুখপাত্র তাতে সাড়া দেননি।

এর আগে মিয়ানমারে গত এক সপ্তাহে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) ও সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠী দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে হামলা করে অন্তত ১১৪ জন সরকারি সেনাকে হত্যা করেছে। পিডিএফ ও সশস্ত্র গোষ্ঠী যৌথভাবে সরকারের বর্ডার গার্ড ফোর্সেসের 𓆏(বিজিএফ) ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছে। কারেন রাজ্যের মিওয়াদি টাউনশিপে এই হামলা চালানো হয়।

জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যরা এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে এবং সামরিক বাহিনীকে জবাবদিহি করার 🌃জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

💞বিরোধী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সন্ত্রাসী সামরিক বাহিনীর এই জঘন্য হামলা নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে তাদের নির্বিচারে চরম শক্তি প্রয়োগের আরেকটি উদাহরণ, এটি একটি যুদ্ধাপরাধ।’

মূলত এনইউজি সেনাবাহিনীর বিরোধিত🐽া করে নিজেকে মিয়ানমারের বৈধ সরকার বলে থাকে। মঙ্গলবার যে অফিসটি উদ্বোধন করা হচ্ছিল, তা ছিল এই গোষ্ঠীটির প্রশাসনিক নেটওয়ার্কের অংশ।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে। এ ছাড়া নোবেলজয়ী সু চিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় জান্তা সরকার ক্ষমতা দখল করলেও দেশটির সিংহভাগ জনগণ বিষয়টি মেনে নেয়নি। রাস্তায় বিক্ষোভ, সরকারি কার্যক্রম বর্জনসহ সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে দেশটির বিভিন্🐠ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এতে এখন পর্যন্ত দুই হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

আহত হয়েছেন আরও অনেকে। অভিযান চালিয়ে অনেককে আটক🦂 করারও অভিযোগ ওঠে। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন দেশটির সেনাদের নির্যাতনে। শুধু তা-ই নয়, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে মিয়ানমারের অর্থনীতি। এখনো প্রা𝔉য় বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও জান্তা বাহিনীর সদস্যদের লড়াইয়ের খবর পাওয়া যায়।

Link copied!