শীতকাল পড়তে শুরু করলেই শুরু হয়ে যায় জ্বর, সর্দি-কাশি আর গলাব্যথা। আট থেকে আশি— শীত আসার আগেই ঠান্ডায় কাবু সব বয়সী মানুষ। যাদের🎃 ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাদের মৌসুম বদলের সময় বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি।
ঋতু বদল🐟ের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার যে পরিবর্তন ঘটে, এর সঙ্গে অনেকের শরীর ঠিকমতো মানিয়ে নিতে পারে না। তাই শীতকাল পড়তে না পড়তেই শুরু জ্বর, সর্দি-কাশি আর গলাব্যথা। এতে আক্রান্ত হন কমবেশী ছোট-বড় সবাই।
তবে এবছর শীতের শুরুতেই দেখা দিয়েছে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি)। যদিও এই ভাইরাসটি বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হ𓂃য় ২০১৭ সালে। এরপর কমবেশি প্রতিবছরই শনাক্ত হয়ে আসছে। এ পর্যন্ত অনেকের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হলেও জটিলতার ইতিহাস নেই। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। তবুও যেহেতু এইচএমপি নামক ভাইরাস সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই সবারই সতর্ক হতে হবে।
চিকিৎসকদের মতে, এইচএমপিভি মূলত শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ সৃষ্টি করে। যে কোনো বয়সের মানুষের মধꦓ্যেই এই ভাইরাস দেখা দিতে পারে। তবে উচ্চ ঝুঁক▨িতে আছে বয়স্ক, শিশু ও শ্বাসযন্ত্রে দুর্বলতা আছে এমন ব্যক্তিরা।
মৌসুম বদলের সময়ে বিশেষ করে শীত ও বসন্তে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। যদি সিওপিডি রোগীরা সংক্রমিত হয় তবে শ্বাসকষ্ট বাড🐭়তে পারে, সঙ্গে ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতার পাশাপাশি সঠিক তথ্য থাকা খুবই জরুরি।
এইচএমপিভির কী কোনো চিকিৎসা আছে?
চিকিৎসকরা বলছেন, এইচএমপিভি’র জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ নেই। যত্ন ও সচেতনতিই হলো এর মূল চিকিৎসা। যথেষ্ট বিশ্রাম, হাইড্রেশন ও গুরুতর ক্ষ♉েত্রে জ্বর কমানোর ওষুধ ও অক্সিজেন থেরাপির সাহায্যে এর লক্ষণগুলি উপশম হয়।
উচ্চ ঝুঁকিতে থাক♛া ব্যক্তিদের যেমন শিশু, বয়স্ক বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। এটি এড়াতে, হাত পরিষ্কার করা ও সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংস্পর🌟্শে আসা এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে এইচএমপিভি’র চিকিৎসার জন্য যত্ন ও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন। কারণ এর কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ ন꧟েই। এমন পরিস্থিতিতে, বিশ্রাম ওহাইড্👍রেশনের সাহায্যে এর লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এছাড়া গুরুতর ক্ষেত্রে অক্সিজেন থেরাপি সহায়তারও প্রয়োজন হতে পারে।
এইচএমপিভি কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?
চিকিৎসকরা বলেছেন, এরই মধ্যে এইচএমপিভির প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে, এটি প্রতিরোধ করার কার্যকর উপায় হলো ভালো স্বাস্থ্যবিধি বজা🔥য় রাখা ও সংক্রামিত ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা।
এইচএমপিভি শনাক্তের জন্য কোন পরীক্ষা করবেন?
বিশেষ পরীক্ষা যেম💦ন পিসিআর-এর মাধ্যমে এইচএমপিভি শনাক্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই পরীক্ষাটি শ্বাসযন্ত্রের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি নির্ধারণ করে। এছাড়া দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও রোগ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই