মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত সিনেমা ‘হাওয়া’। চতুর্থ সপ্তাহেও অর্ধশত প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হ🍎চ্ছে এটি। কিন্তু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পরিচালক সুমনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পর✃িদর্শক নারগিস সুলতানা বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এতে সুমনের কাছে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।
‘হাওয়া⛄’ সিনেমার একাধিক দৃশ্যে একটি শালিক পাখিকে খাঁচাবন্দি করে রাখার দৃশ্য রয়েছে। সিনেমাটির প্রধান চরিত্র চানমাঝি; তিনি পাখির মাংস খাচ্ছেন তা দেখানো হয়েছে। এজন্য সিনেমাট💮ির বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা এখনো চলমান। এ নিয়ে শোবিজ অঙ্গনের বেশিরভা🙈গ শিল্পী-নির্মাতা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এদিকে অভিযুক্ত নির্মাতা সুমন বললে, “মামলার সাক্ষী শালিক পাখি।”
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাতে সুমন তার ফেসবুকে ‘শালিক বিতর্ক’ নিয়ে মুখ𒐪 খোলেন। তাতে এমন মন্তব্য করেন সুমন।
লেখার শুরুতে সুমন বললেন, ‘‘পাঁচ বছর আগে আমার ব্যান্ড মেঘদল-এর জন্য নির্মাণ করেছিলাম ‘এসো আমার শহরে’। সেখানে এই নেক্রপলিস সিটিতে কিছু প্রতীকী বন্যপ্রাণীকে দেখিয়েছিলাম। ওদের শহরের ভেতর নানা জায়গায় দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এই মৃত নগরে মানুষহীন রাস্তাঘাটে বন্যপ্রাণী কেন ঘুরে বেড়াচ্ছে! তার উদ্দেশ্যই বা কী? আমি মনে করেছিলাম, এই নগর শুধু মানুষের নয়, অন্য প্রাণীর জন্যও আবাসস্থল হওয়ার কথা ছিল। প্রতিদিন এই শহরে অসংখ্য প্রাণীদের আমরা নিয়ে আসি শুধু ভোগের জন্য। হয়তো মানুষের জীবনধারণের জন্য সেটা আমাদের করতেও হয়। কিন্তু মায়া তো নিঃশেষ হবার নয়। এই সর্বপ্রাণের মায়াই ওই মি🦩উজিক ভিডিওতে দেখাতে চেয়েছিলাম।’’
সুমন তার আরেকটি কাজের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‘কিছু দিন আগেও ‘কোথায় পালাবে বলো রূপবান’ নামে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির জন্য একটি ছোট সিনেমা নির্মাণ করি। সেখানে চিড়িয়াখানা থেকে একটি বাঘ পালিয়ে যায়। তাকে কর্তৃপক্ষ খাঁচায় বন্দি করতে চায়। পাশাপাশি এক নারীকেও বন্দি করতে চায় সমাজের কিছু চোখ। সে যাইহোক, আমার পূর্বের এই দুটি কাজের ভেতর দিয়ে বলতে চেয়েছি, প্রাণ ও প্রকৃতি নিয়ে আমার গল্প বলা নতুন নয়। বরং এই কাজগুলোতে সর্বপ্রাণের দায় সবসময়ই ছিল।’’
যে শালিক পাখির কারণে মামলা হয়েছে। শুটিং শেষে সেই পাখিটি প্রকৃতিতে মুক্ত করে দেয়ছেন সুমন। তা জানিয়ে এই পরিচালক বলেন, “নির্মাতা হিসেবে আমি এটুকুই বলতে চাই, হাওয়া’র পাখিটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে আর এই নির্মাণের জন্য যে সিনেমাটিক রিয়েলিটি তৈরি করতে হয়েছে তা সত্য নয়। সিনে﷽🐲মার শুরুতে ডিসক্লেইমারে আমরা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছি। পাখিটির দৃশ্যধারণের পর আমরা তাকে প্রকৃতিতে মুক্ত করে দিয়েছিলাম। আর নৌকায় যে উড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্য দেখিয়েছি তা কম্পিউটার গ্রাফিক্সের মাধ্যমে নির্মাণ করা। আর চানমাঝি যে তার প্রিয় পাখিটিকে খেয়ে ফেলে সেটা কি শুধু ভোগ? নাকি সমাজের ভেতর জমতে থাকা হিংস্রতা? আর আমি শুধু ওই বোধটাকেই ইঙ্গিত করেছি আর সেটা নির্মাণ করেছি সিনেমার ভাষার ভেতর দিয়ে। পৃথিবী সর্বপ্রাণের হোক।”
আলোচিত ‘হাওয়া’ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন—চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাজিফা তুষি, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভী রিজু প্রমুখ।