প্রিয়দর্শিনী খ্যাত চিত্রনায়িকা আরিফা জামান মৌসুমীর জন্মদিন রোববার (৩ নভেম্বর)। বিশেষ দিনে দেশে নেই প্রিয় নায়িকা। তাই বলে বসে নেই ভক্ত ও সহশিল্পীরা। তারা সামাজিক মাধ্যমে তജাদের প্রিয় নায়িকাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
৩ নভেম্বর সকালে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নায়ক ও মৌসুমীর স্বামী ওমর সানী। মৌসুমীর সঙ্গে কেককা𓃲টার একটি ছবি পোষ্ট করে নায়ক লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী, অন্য কোন কথা লিখবো না, শুধু বলব সবাই মিলে বলবো আলহামদুল🍨িল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ,। শুভ জন্মদিন।’
মৌসুমীর জন্মদিন প্রসঙ্গে তার স্বামী অভিনেতা ওমর সানী বলেন, প্রতিবারের মতো এ বছর ফ্যান ক্লাবের পক্ষ থেকে সদস্যরা সন্ধ্যার দিকে জন্মদিনের অ♏নুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আমি আজ সকা🐷লে মৌসুমীর জন্মদিন উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকব।
ওমর সানী জানান, 🃏মানিকগঞ্জের উথলী নামের একটি গ্রামের এক অনুরাগꦿী গত ১৬ বছর ধরে তার বাড়িতে মৌসুমীর জন্মদিন আয়োজন করে আসছেন। মৌসুমীর পরিবার সেটা জানতে পেরেছে গত দুবছর আগে। এ বছরও সেখানে জন্মদিনের আয়োজন থাকবে। মৌসুমী দেশে না থাকায় এবার সে অনুষ্ঠানে যাবেন ওমর সানী।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মানিকগঞ্জের এ গ্রামটিতে মোসুমীর জন্মদিন উদযাপনের বিষয়টি আমরা অনেক পরে আবিষ্কার করেছি। যিনি মৌসুমীর জন্মদিন পালন করছেন, তার নাম লুৎফর রহমান।♔ তিনি সেখানকার একজন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য। তার সঙ্গে এখন আমার ভালো সম্পর্ক। তিনি একসময় প্রবাসী ছিলেন। তার অফিসে মৌসুমী আর আমার ছবি দিয়ে সাজানো। তার খুব উদার মনের মানুষ। প্রত্যন্ত গ্রামের এই মানুষটির এমন আয়োজন 🐲আমি দারুণ উপভোগ করি।’
ওমর সানী আরও বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে মৌসুমীর জন্মদিনে গ্রামবাসীর ম꧃াঝে খিচুড়িসহ বিভিন্ন খাবার বিতরণ করেন। দোয়ার আয়োজন করেন, এবারও ༒করেছেন। আমাকে নেমন্তন্ন করেছেন। এবার আমি প্রথমবারের মতো সেখানে অংশগ্রহণ করবো। দুপুরে সবার সঙ্গে মৌসুমীর জন্মদিনের খিচুড়ি খাবো। সেখানে জন্মদিনের কেকও কাটা হবে।’
‘কেয়ামত থেকে෴ কেয়ামত’ দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হয় মৌসুমীর। ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ছবিটি। এরপꦕর ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘দোলা’, ‘দেনমোহর’ ও ‘স্নেহ’ ছবিগুলোতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে যান তিনি। এখন পর্যন্ত তিনি অভিনয় করেছেন শতাধিক সিনেমায়।
অভিনয়ের জন্য মৌসুমী কয়েবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন। এ ছাড়াও পেয়েছেন বাচসাস পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার ও সম্মননা। অভিনয়ের পাশাপা✨শি পরিচালকের খাতায়ও নাম লিখিয়েছেন মৌসুমী। ২০০৩ সালে ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ দিয়ে তার চলচ্চিত্র পরিচালক হ🐈িসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে। ২০০৫ সালে ‘মেহের নিগার’ সিনেমাটি পরিচালনা করেন তিনি। ২০১৬ সালে ‘শূন্য হৃদয়’ নামে একটি টেলিছবিও নির্মাণ করেন তিনি।
১৯৯৬ সালে ‘গরিবের রানী’ সিনেমার মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবে যাত্রা শুরু হয় মৌসুমীর। একই বছর ‘সুখের ঘরে দুখের আগুন’ ও ‘বউয়ের সম্মান’ সিনেমা দুটি প্রযোজনা করেন তিনি। মৌসুমী সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি ছোটপর্দায়ও অ꧙ভিনয় করেছেন। করেছেন উপস্থাপনায়ও।