নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেছেন, রুচির দুর্ভিক্ষ প👍্রসঙ্গে তিনি এককভাবে হিরো আলমকে নিয়ে কিছু বলেননি। বিরাজমান সার্বিক পরিস্থিতির কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, “রুচির দ꧋ুর্ভিক্ষ কথাটি আমার নয়। এটি বহু আগে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন বলে গেছেন।”
বুধবার (২৯ মার্চ) একটি গণমাধ্যমকে দেওয়াಌ এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
মামুনুর রশীদ বলেন, “রুচির দুর্ভিক্ষ যা এখন সꦯব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে রাজনীতি আছে। শিক্ষা খাত আছে। আমাদের সংস্কৃতি আঙিনাও এর বাইরে নয়।”
বর্ষীয়ান এ নাট্যকার বলেন, “এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগ। সবাই এখানে নিজস্ব মত প্রকাশ করছেন। আমরাও চাই না এর ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ আরোপ হোক। কিন্তু এর সঙ্গে শিল্পের বাণিজ্যিকীকরণের একটা যোগ আছে। এখানে যা কিছু প্রচার হচ্ছে তার বেশির ভাগই মানহীন। অনেক কিছু আবার আমাদের নিজস্ব বাঙাল🦩ি সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না।”
এ বিষয়ে নেটিজেনদের মধ্যে বিতর্কের সূত্রপাত হয় রোববার (২৬ মার্ꦡচ)। সেদিন মামুনুর রশীদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “রুচির দুর্ভিক্ষের কারণে হিরো আলমের সৃষ্টি ꦍহয়েছে।”
এর জবাবে সোমবার (২৮ মার্চ) আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেন, “১৮ কোটি মানুষের দেশে রুচির দ🎶ুর্ভিক্ষের কারণ হিসেবে একমাত্র আমাকে দায়ী করা যায় ন♔া। যারা ‘রুচিবান’ রূপে নিজেদের দাবি করেন, তাদেরও অনেক দায় রয়েছে। আমি একের পর এক আক্রমণের শিকার হচ্ছি। আমি আত্মহত্যা করলে তারাই (রুচিশীলরা) দায়ী থাকবেন।”
হিরো আলমের আত্মহত্যার হুমকি প্রসঙ্গে মামুনুর রশীদ𝄹 বলেছেন, ফেসবুকে লাইভে এসে আত্মহত্যার কথা একটি ছেলেমানুষি কথা। তিনি বলেন, “কাউকে গরিব বলে ইঙ্গিত করে কিছু বলিনি। আমি নিজেই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছি। এমন উদাহরণ বহু আছে। কাজী নজরুল ইসলামের কথা আমরা সবাই জানি। সীমাহীন দারিদ্র্যে তার জীবন গেছে। তবু তিনি অসাধারণ শিল্প সৃষ্টি করে গেছেন।”
মামুনুর রশীদ আরও বলেন, “কেউ কাউকে তৈরি করতে পারে না। অপাত্রের মাথায় হাত দিয়ে লা🀅ভ নেই। নিজের চেষ্টা ও উদ্যোগে সৃষ্টিশীলরা একটি পর্যায়ে পৌঁছান। তবে༺ ভারতবর্ষের শিল্পচর্চা অনেকটা গুরুবাদী বিদ্যা। একটি ধারাবাহিকতার ভেতর একজন যথার্থ শিল্পী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন।”