• ঢাকা
  • বুধবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২০ ভাদ্র ১৪৩১, ২৯ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের জন্মদিন আজ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের জন্মদিন আজ
সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা গানের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের জন্মদিন বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর)। ১৯৫৪ সালে আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ৭০ পেরিয়ে ৭১ বছরে পা রেখেছেন বরেণ্য এই শিল্পী। জনপ্রিয় এই শিল্পীর জন্মদিনে ‘সংবাদ প্রকাশ’ পরিবার থেকে জন্মদিনের শু🌌ভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন।

বিশেষ এই দিনটি উপলক্ষে কোনো আয়োজন নেই বাসায়। জন্মদিন নিয়ে প্রখ্যাত এই শিল্পী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এবারের জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনাই নেই। বাসা থেকে কোথাও যাচ্ছি না। বাসাতেই সময় কাটবে আমার। এখন দেশের যে পরিস্থিতি, এ পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই আসলে জন্মদিন উদযাপনের আগ্রহ নেই। সময়টা অন্য রকম। এখন দেশ গড়ার সময়, নতুন 🎐করে দেশটা ঠিকঠাকভাবে গড়ে তোলার সময়। সবকিছু স্বাভাবিক হোক, তখন না হয় নিজের জন্মদিন উপল🐽ক্ষে কিছু একটা করা যেতে পারে। আপাতত সবার দোয়া চাই, আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন। আর সবাই যেন ভালো থাকেন নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে আমিও এ দোয়া করি।’

সাবিনা ইয়াসমিন আরও বলেন, “জন্মদিন এলেই আব্বা-আম্মা ও আমার বোনদের খুব মিস করি। কিন্তু তারপরও সবার ভালোবাসা পেয়ে আমি সে কষ্ট ভুলে থাকার চেষ্টা করি। ঈদ এলে♊ যেমন নতুন জামা-কাপড় লুকিয়ে রাখতাম, জন্মদিন এলেও তাই করতাম। জন্মদিনে এসব কাপড় বের করতাম। আনন্দটাই ছিল অন্য রকম। পরিবারের মধ্যকার সে আনন্দটা মিস করি।”

সাবিনা ইয়াসমিন এক পারিবারিক সুরের আবহাওয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা লুৎফর রহমান সরকারি চাকরি করলেও চমৎকার রবীন্দ্র সংগীত গাইতেন। মা মৌলুদা খাতুন মুর্শিদাবাদের প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ কাদের বক্সের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নিয়েছিলেন। সাবিনা ইয়াসমিন ওস্তাদ পিসি গোমেজের কাছে একটানা ১০ বছর শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নি▨য়েছেন। তবে মঞ্চে গান গাইতে উঠেছেন মাত্র ৭ বছর বয়সে।

১৯৬২ সালে ‘নতুন সুর’ চলচ্চিত্রে 🌜শিশু কণ্ঠশিল্পী হিসেবে, রবীন ঘোষের সুরে একটি গান গেয়েছিলেন 🅺সাবিনা ইয়াসমিন। ১৯৬৪ সালে তিনি বেতারে ছোটদের গানের অনুষ্ঠান ‘খেলাঘর’-এ নিয়মিত অংশ নিতেন। ১৯৬৭ সালে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ ছবিতে প্লে-ব্যাক শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর কেবলই এগিয়ে চলা।

চলচ্চিত্রে তার গাওয়া গানের সংখ্যা কয়েক হাজার। পেয়েছেন একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ১৪ বার। আরটিভি স্টার অ🐲্যাওয়ার্ড ২০১৮-এ আজীবন সম্মাননা পান সাবিনা ইয়াসমিন। তার প্রাপ্তির ঝুলিতে রয়েছে এইচএমভি‍‍’র ডবল প্লাটিনাম ডিস্ক, উত্তম কুমার পুরস্কার, বিশ্ব উন্নয়ন সংস্থা থেকে ডক্টরেট🉐 ডিগ্রি, জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য পদক ও সম্মাননা।

সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গানের মধ্যে ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’, ‘আমি রজনীগন্ধা 🔯ফুলের মতো গ🔯ন্ধ বিলিয়ে যাই’, ‘চিঠি দিও প্রতিদিন, চিঠি দিও’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান’, ‘দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা’, ‘এ সুখের নেই কোনো সীমানা’, ‘বরষার প্রথম দিনে’ ও ‘আমার ভাঙা ঘরে ভাঙা চালা’ উল্লেখযোগ্য।

তার দেশাত্মবোধক গানের মধ্যে ‘জ🌸ন্ম আমার ধন্য হলো মাগো’, ‘সব ক’টা জানালা খুলে দাও না’, ‘ও আমার বাংলা মা’, ‘﷽মাঝি নাও ছাড়িয়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ’ ও ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা’ উল্লেখযোগ্য।

ভারতের বরেণ্য সুরকার আরডি বর্মণ🐼ের সুরে গান করেছেন সাবিনা ইয়া🎶সমিন। কিশোর কুমার ও মান্না দের সঙ্গে দ্বৈতগানেও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। 

Link copied!