এই ঈদে মুক্তি পাওয়া ফেরদৌস ও পূর্ণিমা অভিনতি ‘আহারে জীবন’ ফ্লপ বানানো হয়েছে, দাবি করেছেন সিনেমার নির্মাতা ছটকু আহমেদ। সম্পতি এক সংবাদ ম্েমলনে এ দাবি করেন।
একমাস পর নির্মাতা অভিযোগ করে বললেন, তার ছবিটি ভালো ছিল কিন্তু ছবিটি ফ্লপ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফ🌜লে মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। তবে ছটকু আহমেদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। তারা বলেন, দর্শক টানতে না পারায় ছবিটি নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছটকু আহমেদ বলেন, ‘আহারে জীবন ছবি নিয়ে কিছু বলার ছিলো না। কিন্তু কাল আমার ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে গিয়ে এক দারুণ সত্যের মুখোমুখি হলাম। স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ঈদের আগের দিন অনলাইনে প্রচার কর🎉ল বঙ্গবন্ধু মিলিটারি মিউজিয়ামে ঈদের দিন থেকে ১৮ই এপ্রিল সকাল ১১টায় ও বিকাল ৪টা ৩৫, আহারে জীবন ছবি চলবে। অথচ ছবিটি একদিনও একটা শো তারা চালায়🐽নি। আমি জানতে চাওয়ায় এক ভদ্রমহিলা জানায় ঈদের দিন ও পরেরদিন মিউজিয়মের সিনেপ্লেক্স বন্ধ থাকবে। এবং তারপর দিন ইউটিউবারদের নিউজে দেখলাম আহারে জীবন ছবি সিনেপ্লেক্স থেকে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। অবাক কাণ্ড! যে ছবি একদিন একটা শোও সিনেপ্লেক্সে চালালো না সে ছবি সিনেপ্লেক্স থেকে কি করে নামিয়ে দেয়া হয়?’
ছটকু আহমেদের কথায়, ‘সেন্সার বোর্ডের বিজ্ঞ সদস্যরা আহারে জীবন ছবির প্রশংসা করেছে। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার কাজী হায়াত ছবি দেখে বলেছে, অনুদানের ছবি এতো সুন্দর করে, এতো খরচ করে কাউকে বানাতে দেখেনি। সেই ছবিকে একটা দর্শককেও দেখতে না দিয়ে সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ কি করে নামিয়ে দেয়? কি ধরনের ভদ্রতা? সুপারডুপার হিট বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না, অশিক্ষিত ছবিরও তিন চারদিন হলে দর্শক ছিলো না কিন্তু পরে যখন রিপোর্ট বের হয় তখন মেগা হিট হয়। অথচ আহারে জীবন ছব✅িকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’
স্টার সিনেপ্লেক্সেকে দোষারোপ করে এ নির্মাতা বলেন, ‘যমুনা ব্লকবাস্টারে ঈদের দিন দুপুরে যেখানে পরিবার ঘর থেকে ছবি দেখতে বের হবার কথা নয় সেইদিনও সাড়ে পাঁচশো টাকায় টিকিট কেটে লোকজন ছবি দেখে চোখের কান্না নিয়ে হল থেকে বেড়িয়ে বলেছে দারুণ ছবি। সাভার বিলাস সিনেমা হলে, পাবনা রূপকথা সিনেমা হলে আহারে জীবন চলেছে এবং সবখানেই রিপোর্ট আশাতিরিক্ত ভালো অথচ স্টার সিনেপ্লেক্স এক শো ছবি না চালিয়ে আহারে জীবন ছবিকে ফ্লপ বানিয়ে দিলো। ফলে আর্থিক ক্ষতির সন্মক্ষীণ 🍃করা হয়েছে আহারে জীবন ছবিকে।’
স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যৈষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘২০ বছর ধরে স্টার সিনেপ্লেক্স একটা শ্রেণির দর্শক ধরে রেখেছে। ভালো ছবি হলে আমার সিনেমা চালাবো না কেনো? ঈদে আমরা কয়েকটি ছবিতে ভরপুর দর্শক দেখেছি। সেগুলো তো নামিয়ে দে𓃲ইনি। কিন্তু আপনার ছবিতে দর্শক না থাকে তাহলে সে সিনেমা চালিয়ে কি লাভ। এখানে আমাদের বড় একটা খরচ আছে। ছবি না চললে খরচটা আমাদের উঠবে কীভাবে। সেই জায়গা থেকে সিনেমাটি নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।’