ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সা✨রাদেশে ২০৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে মোট ১১টি সিনেমা। সিনেমাগুলো হলো- ‘রাজকুমার’, ‘কাজলরেখা’, ‘ওমর’, ‘দেয়ালের দেশ’, ‘জ্বীন–২’, ‘আহারে জীবন’, ‘লিপস্টিক’, ‘সোনার চর’, ‘গ্রিন কার্ড’, ‘মায়া দ্য লাভ’ ও ‘মেঘনা কন্যা’।
সিনেমা দর্শকদের জন্য সবচেয়ে বড় উৎসব হলো ঈদুল ফিতর। আর ঢালিউডের জন্য 🐈আরাধ্য প্ল্যাটফর্ম হলো স্টার সিনেপ্লেক্স। নির্মাতারা মনে করেন, এই মাল্টিপ্লেক্সে তাদের ছবি স্থান পাওয়া মানে মান রক্ষা! ফলে ঈদে (১১ এপ্রিল) মুক্তি পাওয়া ১১ ছবির ৮টিকেই সাদরে জায়গা করে দিয়েছে স🐻্টার কর্তৃপক্ষ।
হতাশার বিষয় এই, মাত্র ৪ দꩲিন (১৫ এপ্রিল) এরমধ্যে নেমে গেলো ৩টি সিনেমা! কারণ দর্শক খরা। ছবি তিনটি হলো ছটকু আহমেদের ‘আহারে জীবন’ কাজী হায়াত পরিচালিত ‘গ্রিন কার্ড’ ও ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত ‘মেঘনা কন্যা’, । ১৫ এপ্রিল বিকালে তথ্যটি নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
সাধারণত, একটি ছবি এক সপ্তাহ চালায় প্রেক্ষাগৃহগুলো। কিন্তু সেই সময়টিඣও নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারেনি ছবিগুলো। অথচ মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে ঈদের প্রথম দিন থেকে এখনও চলছে টিকিট সংকট। তবুও কেন নামত༒ে হলো ছবিগুলোকে?
জবাবে মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেখুন আমরা পারলে ১১টি ছবিই চালাতাম। কিন্তু সবগুলো ছবির শো-টাইম ম্যানেজ করতে পারিনি বলে সেটা সম্ভব হয়নি। এরমধ্যে যে ৮টি ছবি আমরা নিয়েছি তারমধ্যেও রয়েছে দর্শকদের বাচ-বিচার। এমন সিনেমা আছে দর্শক টিকিট পাচ্ছে না। আবার এমনও আছে যেগুলোর নির্ধারিত শো চালানোর মতো দর্শক খুঁজে পাচ্ছি না। বলতে পারেন দর্শকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ঈদের ৫ম দিনে এসে আমরা তিনটি ছবি ড্রপ করেছি। দর্শকরা চাইলে আবারও এই ছবিগুলো ꦛআমরা দেখাবো।’
ঈদের দিন থেকে এই মাল্টিপ্লেক্সের সবগুলো শাখায় এখনও চলছে হিমেಞল আশরাফ নির্মিত ‘রাজকুমার’, মিশুক মনির ‘দেয়ালের দেশ’, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘ওমর’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’ এবং কামরুজ্জামান রোমান পরিচালিত ‘মোনা: জ্বীন ২’। এই ৫টি ছবিরই দর্শক রয়েছে কম-বেশি আশানুরূপ। এরমধ্যে দর্শক চাহিদায় এগিয়ে আছে শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ এবং শরিফুল রাজের ‘ওমর’। চাহিদা রয়েছে হলিউডের ‘গডজিলা ভার্সেস কং’র প্রতিও।
স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ হতাশা নিয়ে আরও একটি তথ্য জানান। বলেন, ‘‘আমরা ঈদের প্রথম দিন থেকে সবচেয়ে আশাবাদী ছিলাম ‘দেয়ালের দেশ’ ছবিটি নিয়ে। এটির সর্বোচ্চ ১৭টি শো আমরা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু ঈদের পর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়েছে। দর্শক চাহিদা কম থাকায় শো কমাতে হয়েছে। বাড়াতে হয়েছে ‘রাজকুমার’ ও ‘ওমর’-𝕴এর। ফলে আমাদের হাতে আসলে কিছু নেই, সবই দর্শকদের চাহিদার ওপর 𝔍নির্ভর করছে।’’
ঈদের দিন থেকে ‘মেঘনা কন্যা’ দুটি, ‘গ্রিন কার্ড’ দুটি এবং ‘আহারে জীবন’-এর তিনটি করে শো চালিয়ে আসছিলো স্টার সিনেপ্লেক্স।