সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু স্বতঃফূর্ত আন্দোলনে প্রথমে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় শিক্ষার্থীদের। পরবর্তীতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে 🎀বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য ম𒊎োতায়েন করা হয়। কিন্তু ক্যাম্পাসে পুলিশ সদস্য থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংꦏবাদিকদের এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
সামিনা লুৎফা বলেন, “আমরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের মুক্তির জন্য এখানে এসে শুনলাম তাদের নাকি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা জানি না, তারা আসলে নিরাপদে আছে কি না। সারা দেশে অজস্র কারাগার গড়ে তোলা হয়েছে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা আটকের মাধ্যমে। জুলাইয়ে হত্যাকাণ্ডে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, সেই আন্দোলনের হাজার হাজার ছেলে মেয়েকে ‘ব্লক রেইড’ দিয়ে দিয়ে🌼 কারাগারগুলো ভরে ফেলা হয়েছে। এই অবস্থা আজকেই থামাতে হবে।”
সরকারের সমালোচনা করে সামিনা লুৎফা আরও বলেন, “ছয় সমন্বয়কদের যেমন ছেড়ে দিয়েছেন, তেমনি সকল শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকদের ছেড়ে দিতে হবে। সমস্ত দেশের নিরাপত্তা দেবার জন্য সরকারে বসেছেন। আমাদের সন্তানদের রক্তে রঞ্জিত করার জন্য আপনাদের ওইখানে বসে রাখা হয়নি। সমস্ত ‘কারফিউ’ তুলে নেবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তুলে নে𝕴বেন। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। মানুষের মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে। তা আটকে রাখার অধিকার আপনাদের কারও নেই।”
এদিন দুপুর আড়াইটায় ডিবি কার্যালয়ের সামনে আসেন বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের সদস্যরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন তারা। তবে সংগঠনটির সদস্যরা আসার আগেই দুপুর আনুমানিকꦍ দেড়টার দিকে সাদা মা༒ইক্রোবাসে করে গোপনে সমন্বয়কদের নিয়ে ডিবি কার্যালয় থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে পরিবারের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।