• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩০, ২ রজব ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভে অস্থিতিশীল জবি


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম
ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভে অস্থিতিশীল জবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক দিন ধꦆরে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এ সময় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে দেশীয় 🌺অস্ত্র ও লাঠিসোঁটার শোডাউন করতে দেখা যায়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়,  ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সা𝔍ধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের স্বাক্ষরিত এক ব🅷িজ্ঞপ্তি মেহেদী হাসান হিমেলকে আহ্বায়ক ও শামসুল আরেফিনকে সদস্য সচিব করে জবির কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

ছাত্রদলের ঘোষিত এই আহ্বায়ক কমিটিকে ‘অছাত্র, অনিয়মিত ও ছাত্রলীগ নিয়ে 💯পকেট কমিটি’ আখ্যা দিয়ে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছাত্রদলের বৃহৎ একটি অংশ। কমিটি ঘোষণার পর দফায় দফায় বিক্ষোভ ও মশাল মিছ⛄িল অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে দেশীয় অস্ত্রসহ মহড়ার ঘটনাও দেখা গেছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, প্রতিদিনের🔯 শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। সংঘর্ষে জড়িত গ্রুপগুলোর মধ্যে লাঠিসোঁটা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান মাহম🎀ুদ বলেন, "আমরা জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংস্কার চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন ক্যাম্পাসের পরিবেশ এমন হয়ে গেছে যে, নিজেরাই আতঙ্কে থাকি। শুনেছি, কমিটি গঠন নিয়♐ে এই অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রয়োজন হলে তারা কেন্দ্রে গিয়ে বিক্ষোভ করুক। কিন্তু ক্যাম্পাসের শান্তি কেন নষ্ট করবে?"

এ বিষয়ে পদবঞ্চিত সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মিয়া রাসেল বলেন, “আমরা এমন কিছুই করব না যেন ক্যাম্প♊াসে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয়। মিছিলে যে লাঠিসোটা দেখেছেন এটা কাউকে মারার জন্য না, যারা কমিটিতে গিয়েছে তাদের সংকেত দেওয়ার জন্য। আমরা স্পষ্টভাবেই মেসেজ দিয়েছি,♎ তারা যেন নতুন করে কমিটি না দিলে ক্যাম্পাসে না আসে।”

জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “আমরা চাইলেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ কর‍তে পারি কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্ꦛতা✱ করেই যাচ্ছি না। আসলে এর আগের কমিটিতে প্রায় তিনশ জন নেতাকর্মী ছিল। বর্তমান কমিটি সেই তুলনায় অনেক ছোট হওয়াতেই আমার দলের সহযোদ্ধারা ক্ষোভ পোষণ করছেন। আমি এর সমাধান হিসেবে যত দ্রুত সম্ভব কমিটিতে বাকিদের ইনক্লুড করতে কাজ করে যাচ্ছি।”

এদিকে ক্যাম্পাসে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব আইডি কার্ড নিয়ে প্রবেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় এ সি꧅দ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে𒊎ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্য﷽াপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা বিধানে আমরা বদ্ধপরিকর। ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ বিরাজ থাকবে এটাই শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা। আর তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেব।”

Link copied!