ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞানꦡ ইউনিট, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও চারুকলা ইউনিট মিলে ভর💟্তির সুযোগ পেয়েছেন মোট ৫ হাজার ৯৬৫ জন শিক্ষার্থী। তবে তাদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে দেওয়া হয়েছে মাত্র তিন দিন সময়। তাও সেটা আবার ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার দুশ্চিন্তার মধ্যেই।
শুধু তাই নয়, প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা🅰 অনলাইনে জমা দেওয়া হলেও জমার রশিদ সোনালী ব্যাংক থেকে সত্যায়িত করে বিভাগে দিয়ে ভর্তি সম্পন্ন করতে হয꧙়।
তবে অগ্রণী ও সোনালী ব্যাংকের অন্য ꧙কোনো শাখায় কাজটি করা যায় না। দুই ব্যংকেরই একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করপোরেট শাখাতেই করতে হয়। ফলে সারাদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা তীব্র ভ্যাপসা গরমে আর বাড়ি ফেরার টে🦂নশনের মধ্যে পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
ঢাবির এক নোটিশে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ১০ থে𒊎কে ১২ জুনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগে হাজিไর হয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। অর্থাৎ ব্যাংকের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় করপোরেট শাখায় ৩ দিনে ৫ হাজার ৯৬৫ শিক্ষার্থীর ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে।
হিসাব করলে দেখা যায়, এক শাখায় প্𝓀রতিদিন গড়ে ২ হাজার ভর্তিচ্ছুকে টাকা জমার রশিদ সত্যায়িত করতে হচ্ছে। ব্যাংকের কর্মঘণ্টা ৮ ধরে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় আড়াইশ আর প্রতি মিনিটে সত্যায়িত করতে হবে ৪ শিক্ষার্থীর রশিদ।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকের কর্মকর্তারা যেমন প𒊎্রচণ্ড চাপের মধ্যে কাজ করছেন, তেমনি ভর্তিচ্ছুরাও পড়েছেন বিপাকে। তীব্র ভ্যাপসা গরমে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়𝓰ে হাঁসফাস অবস্থা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের।
ঢাবি ক্যাম্পাসে মঙ্গলবার (১১ জুন) দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনতা ব্যাংকের টিএসসি শাখার গেট থেকে লম্বা লাইন শুরু হয়ে শেষ মাথা দিয়ে কারাস বিল্ডিং পার♈ হয়ে, টিএসসি মেট্রোরেল স্টেশনও অতিক্রম করে পুষ্টি ও খাদ্য ব♌িজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সামনে পর্যন্ত পৌঁছেছে।
লাইনে শুধু যে শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়েছেন তা নয়, অভি🌳ভাবকরাও সন্তানদের সঙ্গে রয়েছেন। ভর্তি প্রক্রিয়ায় এমন ভোগান্তি নতুন শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের অনেকেই মানতে পারছেন না। রোকেয়া হল, শামসুন্নাহার হলসহ অন্যন্য হলেও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
এমন চিত🌜্র ছিল আগের দিন সোমবারও। প্রশাসনিক ভবনের সোনালী ব্যাংক ঘিরে ছিল দীর্ঘ লাইন। সেই লাইন সোনালী ব্যাংক থেকে শুরু হয়ে💞 পৌঁছে যায় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে পর্যন্ত।
নওশীন তাবাসসুম নামের এক শিক্ষার্থী বললেন, ভর্তির প্রথম দিনেই এমন ভোগান্তি আমাদের ভালো ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ঢাবি দেশ♌ের সবচেয়ে বড় এবং সমৃদ্ধ বিশ♛্ববিদ্যালয়। কিন্তু তার ভর্তি প্রক্রিয়া এমনটা হবে এটা কখনো আশা করিনি।
আনোয়ার হোসেন নামের এক অভিভাবক বললেন, স্মার্💞ট বাংলাদেশের সব কিছু তো অনলাইন নির্ভর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানুষকে পথ দেখা🧸য়। কিন্তু এখানে এখনো স্মার্ট কার্যক্রম শুরু হয়নি। আনস্মার্ট ভর্তি কার্যক্রমে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।