রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর🌊 চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে🌺ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে রেজিস্ট্রার পদের দায়িত্ব🧸 হতে পদত্যাগ/অব্যাহতি গ্রহণ করেন। চুক্তি ভিত্তিক চাকরির মেয়াদ আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার ♑কথা ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত🐲্ব গ্রহণ করেছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম।
এর আগে বেরোবির নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলীর কাছে রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরীকে অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে কর্মকর্তারা তার দ্রুত অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছিলেন। প্রশাসনিক নানা ইস্যুতে তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে উত্তেজনাপূর্ণ পর⛎িস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।
জানা গেছে, বাংলাদেশ𝐆 বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মুহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী একের পর এক অবৈধভাবে নানা সুবিধা নিয়েই চলছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ভবনের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ নিয়োগ পাওয়ার পর ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৮৬ দিনের মধ্যে ৫৩ দিন ছুটি কাটিয়েছেন রেজিস্ট্রার আলমগীর চৌধুরী। মাঝে ২০ দিন বিরতি দিয়ে আবার টানা ৪০ দিনের ছুটি কাটাতে দেশের বাইরে যান। সর্বশেষ গত ৭ আগস্ট অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে চট্টগ্রামে চলে যান। তবে চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে যোগদানের আশা রাখি।’ কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন শুনে ৯ আগস্ট রাতে তড়িঘড়ি করে ক্যাম্পাসে চলে আসেন। এরপর আবার ২ সেপ্টেম্বর কাউকে না জানিয়ে ছুটিতে যান।