জীবনের প꧑্রথম চাকরির পরীক্ষায় পাস করেও শিক্ষক হওয়া হলো না রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের।
সোমব🌠ার (১৪ অক্টোবর) ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ।
জানা গেছে, আবু সাঈদ ২০১৮ সালে রংপুর 🌜সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। ২০২০ সালে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন তিনি। চলতি বছরের গত ১৬ জুলাই বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামন🔜ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।
এদিকে জীবনের প্রথম চাকরির পরীক্ষা আগের 𝔉দিন আবু সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলন গ্রুপে (১২তম ব্যাচ) বন্ধুদের লিখেছিলেন, ‘কা🌳লকে আমার সকাল বেলায় একটা এক্সাম ছিল লাইফের প্রথম জব এক্সাম তো। কী করব এটাই ভাবছিলাম।’
জীবনের সেই প্রথম চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে চাকরিতে যোগদান করার সুযোগ নেই আবু সাঈদের। ꦡফলাফল🌊 প্রকাশের পর সেই বন্ধুকে স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সহপাঠীরা।
বেরোবি শিক্ষার্থী শুয়াইব আহমেদ বলেন, “আমরা কয়েকজন আবু সাঈদকে কতবার বলেছি, ইংরেজি ডিဣপার্টমেন্টের ১২ব্যাচের সবার প্রথম কেউ যদি জব পাই, সেটা হবে আবু সাঈদ। আ♔বু সাঈদ লিখিত পরীক্ষা উত্তীর্ণ, আজ সব কিছু আছে শুধু সেই মানুষটা আমাদের মাঝে নাই।”
নুসরাত জাহান আলভী বলেন, “আল্লাহ ভাইকে জানಞ্নাতে অনেক উচু মর্যাদা দান করুন। এই দুনিয়া যে ধোঁকা ছাড়া কিছুই না আবরার ভাই আর আবু সাইদ ভাইয়ের নাম সামনে এলেই মনে পড়ে যায়। আজকের এইদিনে আবু সাঈদ কতই না খুশি হতো। এটা তার মেধার স্বাক্ষর।”
এদিকে আবু সাঈদের চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার খবর শুনে কান্নায়♕ ভেঙে পড়েন বড় ভাই আবু হোসেন। তিনি বলেন, “আজ আবু সাঈদ বেঁচে নাই, ভাই জানে সে তার চাকরি পরিক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়ে যাবে। আজ আবু সাঈদ বেঁচে থাকলে কতই ন▨া খুঁশি হতো। আমাদের পরিবার সবাই এটাই আশা ছিল আবু সাঈদ একদিন চাকরি করবে।”