রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত আব❀ু সাঈদের নামে ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ নেতৃত্বে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘আবু সাঈদ ব্রিগে𒀰ড’ গঠন করা হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আবু সাঈদ পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (💯৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে সভাপতি, প্রফেসর ডক্টর শূচিতা শরমিন, ডক্টর সাবের আহমেদ চৌধুরী, এয়ার কমোডর ইয়াজদানী (অব:) ও এয়ার কমোডর আব্দুস সামাদকে (অব:) সহসভাপতি এবং সেলিম ওমরাও খানকে সাধারণ সম্পাদক করে 𒁏১১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সমাজে যেখানেই অন্যায়, অবিচার, অসংগতি ও বঞ্চনা সেখানেই আবু সাইদ ব্রিগেড প্রতিবাদ করবে এবং এর প্রতিকার ꦚনিশ্চিত করতে অবিচল থাকবে আবু সাঈদ ব্রিগেড।
অপরদিকে আবু সাইদের পরিবারের অভিযোগ সংগঠন করার বিষয়ে তাদের সঙ্গে কেউ কোনো যোগাযোগ করেনি। তাই আবু সাইদকে নিয়ে কোন𝓰ো ধরনের সংগঠন গঠনে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছে তার পরিবার।
আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন বলেন, “আমাদের পরিবারের কারও সঙ্গে কেউ কোনো যোগাযোগ করেনি। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন আমাকে বলছে আবু সাঈদের নামে একটি সংগঠন বানাইছে। আমি শুনেছি উনি আওয়ামী লীগের অনুগত লোক। উনি কি সেই দুর্নীতিবাজ ভিসি। যে নিজের পাপ ঢাকার জন্য আবু সাঈদকে সামনে নিয়ে এসেছেন। এখন সংগঠন বানাইছে। উনি জাহিল করতেছেন উনি ভালো লোক, পরহেজগার লোক, উনি ছাত্রদের পক্ষের লোক। এগুলো জাহেল করার চেষ্টা করতেছেন। উনি তো একদিনও আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করতে আসেন নাই, ড. মুহাম্মদ ইউনূস, এসপি, ডিসি এসে কবরত জিয়ারত করে গেছে♉ন।”
এদিকে আবু সাঈদের নামে সংগঠন করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ উপাচার্য নিয়োগের পর থেকেই ক্যাম্পাসে ধারাবাহিক অনুপস্থিত থেকে ঢাকার লিয়াজো অফিসে বসে ব্যাপকভাবে একাডেমিক, প্রশাসনিক, ও আর্থিক অনিয়ম, ꦦদুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, জালিয়াতি, ভর্তিবাণিজ্য, হয়রানী, নির্যাতন, নিপীড়ন আর স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়েছেন ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। তিনি কীভাবে আবু সাইদ ব্রি🅷গেড সংগঠন তৈরি করে অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে কাজ করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন বলেন, “এর আগে বেরোবি চেটেপুটে খাইছে কলিমুল্লাহ ধান্😼দাবাজ। এই লোক আর তার দোসররা এত নির্লজ্জ কেমনে হয়। লজ্জা শরম কি নাই নাকি। ভার্সিটি চারট▨ি বছর হাওয়া ভবনের মতো করে রাখছিল। এখন আবার শুরু করছে।”
রাশেদুল ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের সাবেক ভিসি ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ শেখ হাসিনার অতি ঘনিষ্ঠ একজন মানুষ। যাকে হাসিনার তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ নিয়োগ দিয়েছিলেন। উনাকে তো কখনো হাসিনার কোনো অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দেখি নাই।🐟 এখন উনি এসেছেন আমাদের শহিদ ভাইকে নিয়ে টানাটানি করতে। নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”