আকাশছোঁয়া দামের কারণে ইলিশ মাছ খেতে পারেন না গরিব মান🦋ুষরা। একটা অস্ত ইলিশ কেনা তাদের সাধ্যের বাইরে। এমনকি ইলিশের ভরা মৌসুমেও তাদের পাতে পড়ে না অতি সুস্বাদু এই মাছ। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, ইলিশের ℱস্বাদই ভুলে গেছেন গরীবেরা।
এমন হতাশাজনক পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছেন রাজশাহীর ইলিশ ব্যবসায়ীরা। ইলিশের স্বাদ যেন গরীব বা নিম্নবিত্তরাও নিতে পারে সেজন্য কেটে বিক্রি 🍸করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে সাধ্য অনুযায়ী ১০০-২০০ টাকায় ক্রেতারা ইলিশের টুকরꦍা কিনতে পারছেন।
রাজশাহী জেলার মৎস্যজীবী সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে বুধবার (৯ অক্টোবর) কাটা ইলিশ পিস করে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন রাজশাহীর ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতারা। তাদের উপ🌼স্থিতিতে বেলা ১১টা থেকে নগরীর সাহেববাজার মাছ বাজারে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধীরে ধীরে মহানগরীর অন্যান্য বাজারেও এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ইলিশ কেটে টুকরো করে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়ার পরই ভিড় দেখা গেছে মౠাছ বাজারে। আগ্রহীরা ক্রেতাদের কেউ কেউ চার পাঁচ পিস কিনছিলেন। আবার অনেকেই দুই-তিন পিসও চাচ্ছিলেন। ক্ꦆরেতাদের মধ্যে স্বস্তি দেখা যাচ্ছিল।
আসাদুজ্জামান নামের এক ক্রেতা বলেন, “আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। প্রত্যেকের জন্য এক টুকরো করে পাঁচ টুকরো কাটা ইলিশ কিনলাম সাড়ে চারশ টাকায়।” তিনি বলেন, “এক এꦇকটা বড় সাইজের আস্ত ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা কেজি দরে। যা কেনার সাধ্য আমার নেই।”
তবে ইলিশ কেটে বিক্রির করার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যাও দেখা দিচ্ছে বলে জানালেন আবু নামে এক খুচরা বিক্রেไতা। তিনি বলেন, “অনেক ক্রেতা এসে ইলিশের মাঝের অংশের টুকরা চাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার শুধু পেটি নিতে চান। এ নিয়ে ঝামেলা হয়।
বিক্রেতাদের মন্তব্য, ইলিশ কেটে বিক্রির সময় মাঝের অংশ কিংবা পেটির চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। সবাই শুধু পেটি চাওয়ার ফলে লেজ বা মাথার টুকরো বিক্রি কম হচ্ছে। তাছাড়া আস্ত ইলিশ বিক্রি করলে যেখানে নꦜাড়িভুড়িসহ বিক্রি হয়ে যায়, এখন সেখানে নাড়িভুড়ি ফেলে দিতে হচ্ছে। এতে লস হচ্ছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মামুদ হাসান বলেন. “কেটে ইলিশ বিক্রি হলে নাড়িভুড়ি ফেলে দেওয়ার কারণে ওজন কিছুটা কমে যেতে পারে। তাই খুচরা ব্যবসায়ীদের বলেছি🦩, সেই ক্ষতি যেন কিছুটা দাম বাড়িয়ে হলেও ক্ষতি যেন পুষিয়ে নেওয়া হয়।”
রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সা♕ধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, “ইলিশ কেটে টুকরা করে বেচাকেনার প্রচার প্রচারণার জন্য মাইকিং করেছি আমরা। ইলিশ মাছ পিস করে বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করার পর কয়েক মিཧনিটেই বেশ কিছু ইলিশ বিক্রি হয়ে গেছে।”