আবহমান বাঙালি জাতির ঐতꩵিহ্য ও শতবর্ষের প্রাচীন সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ নৌকাবাইচ। নদীমাতৃক এ দেশের গ্রামীণ লোকসংস্কৃতির সেই ঐতিহ্যকে বুকে ধারণ করে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও বꦕিল-বাঁওড়ে আয়োজন করা হয় নৌকা বাইচের।
থৈ থৈ জলে, ঢাক-ঢোলের তালে তালে গ্রাম বাংল💎ার গান আর মাঝি-মাল্লার বৈইঠার ছন্দ মাতিয়ে তোলে বাসুলিয়ার চাপড়া বিলের শান্ত জলের ঢেউকে। আর সেই তালে তাল মেলাতে নৌকা বাইচ দেখতে বিশাল বিস্তৃত টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসুলিয়ায় (চাপড়া) বিলের বুকে হাজারো মানুষের ঢল নামে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাসাইলের দিগন্ত বিস্তৃত জলভরা দৃষ্টিনন্দন বাসুলিয়ায় উৎসবমূখর পরিবে🐬শে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল💮ে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরেজমিনꦦে গিয়ে ⛎দেখা যায়, শুক্রবার বিকেলে দৃষ্টিনন্দন ও নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি চাপড়া বিলে অনুষ্ঠিত হয় গ্রাম-বাংলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ। জেলার অন্যতম বিনোদনমূলক এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে জলপথে নৌকা আর সড়কপথে যানবাহনে প্রায় হাজারো মানুষের সমাগম হয়। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ণিল এ নৌকা বাইচের আয়োজন করেন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্ওদুল মালেক ম♈িয়া স্মৃতি সংসদ।
প্রতিযোগি𝓰তায় নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, পাবনা ও টাঙ্গাইলে কয়েকটি উপজেলা থেকে আল্লাহ ভরসা, মায়ের দোয়া, সোনার তরী, ফুলের তরী, হীরার তরী, আদর্শ তরী, ময়ূর পঙ্খী, পঙ্খীরাজ ও জলপরীসহ বাহারী নাম ও রঙের ডিঙি, কুশা, সিপাই, খেলনা, অলংগাসহ কয়েক ক্যাটাগরির প্রায় অর্ধশতাধিক নৌকা অংশগ্রহণ করে। ছোট, বড় ও মাঝারি নৌকা পৃথক পৃথক কয়েকটি রাউ⛦ন্ডে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত রাউন্ডে বিজয়ী হয়েছে পাটুলি গ্রামের মায়ের দোয়া নৌকা। রানার্সআপ হয়েছে বাসাইল উপজেলার কাশিলের চাচা-ভাতিজা নৌকা। পরে অতিথিরা বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ সময় চ্যাম্পিয়ন ওꦬ রানার্সআপসহ অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি নৌকাকেই আকর্ষণীয় প🥃ুরষ্কার দেওয়া হয়।
এতে প্রধান অতিথি থেকে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন স্থানীয় স🍎ংসদ সদস্য💞 অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের।
প্রত💫িযোগিতার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আ♓খতার হোসেন।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দিন আহমেদ, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, সাইফুজ্জামান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিশিষ্ট শিল্পপতি খালিদ হোসেন খান পাপ্পু, ট๊াঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ-অর্থ মন্তﷺ্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আমিন শরীফ সুপন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেন বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া আক্তার।
নৌকা বাইচের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান গাউস ও সাধারণ সম্পাদক 🔯মির্জা রাজিক এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাসাইল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নৌকা বাইচ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব সোহানুর রহমান সোহেল।