সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে জেলার সদর, তাহিরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা কর𒀰ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকালে সুরমার সুনমাগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১২ ও জেলার ছাতক উপজেলায় ৯৪ সেন্টিমিটার ওপর 𓆏দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে গত বছরের মতো বন্যার আ꧂শঙ্কা করছেন হাওর ও সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
জেলার তাহিরপু🐼র, দোয়ারাবাজার ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বেশ কিছু সড়ক ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
সুনামগঞ্জের-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়কের বাগমারা, কৈইয়ার কান্দা ১০০ মিটার, আনোয়ারপুর এলাকায় নিচু সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গত তিন দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ল🌌োকজন এখন কৈইয়ার কান্দা ১০০ মিটার থেকে ভাটিপাড়া গ্রাম পর্যন্ত নৌকায় পারাপার হচ্ছেন।
তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আসাদুজ্জামান রনি জাꦿনান, ঢলের পানিতে তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়ক দিয়ে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে পর্যটকসহ জেলা শহর থেকে আসা লোকজন সড়ক পানিতে ডুবে থাকায় নৌকা, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা (টমটম) দিয়ে আসতে হচ্ছে।
জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানান, আগাম൲ী দু-এক দিন মাঝারি বা ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় বন্যার পূর্বাভাস নেꦏই।