রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সমিরুল হক নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকা💃ল সাড়ে ১২টার দিকে দিয়াড় মানিকচক সীমান্তে ওই কিশোরকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনার পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৫৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেꦏল নাহিদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ কিশোর সমিরুলের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার পর সীমান্ত এলাকার মানুষজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে পতাকা বৈঠক আহ্বান করেছে বিজিবি।
নিহত সমিরুল বারীনগর গ্রামের হাসিবুল হকের ছেলে।
গোদাগাড়ীর ৯ নম্বর চরআষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান🍎 আশরাফুল হক ভোলা বলেন, ‘‘সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারতের কৃষকদের ফসলের ক্ষেত রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সমিরুলসহ কয়েকজন মিলে দিয়াড় মানিকচক সীমান্তের ৫ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকার জিরো লাইন থেকে দেড়শ গজ বাংলাদেশের ভেতরে ঘাস কাটছিল। এ সময় ভারতের চর আষাড়িয়াদহ বিএসএফের একটি টহল দল তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিটি﷽ সমিরুলের এক বগল দিয়ে ঢুকে বুকের ভেতর দিয়ে আরেক বগল হয়ে বেরিয়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। এসময় অন্যরা পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করে। পরে খবর পেয়ে বিজিবির সাহেবনগর ও দিয়াড় মানিকচক ফাঁড়ির দুটি টহল দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়। দুপুরেই কিশোর সমিরুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’’
আবু ওবায়েদের বাবা গোলাম রসুল বলেছিলেন, ‘‘সীমান্তের কাছে নিজের বোরো ধ🍬ানের ক্ষেতের ঘাস কাটছিল ওবায়েদ। এ সময় বিএসএফের এক জওয়ান এসে তাকে ফিরে যেতে বলে। ওবায়েদ ঘাসগুলো বস✨্তায় ভরে মাথায় তুলে যখন ফিরে আসছিল, সেই সময় হঠাৎ তাকে গুলি করে।’’
গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী ক🦄র্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম বলেন, কিশোর সমিরুল ওরফে সামিউলের মরদেহ বিজিবি সদস্যরা উদ্ধার করেছেন বলে খবর পেয়েছি। আইন অনুযায়ী মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তাস্তর ও এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ২২ মে আষাঢ়িয়াদহ সীমান্তে ঘাস কাটতে গেলে কিশোর আবু ওবায়েদকে গুলি করে বিএসএফ। গুলিটি তার উরুর মাংস ভেদ করে বেরিয়ে যায়। তবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর সে সুস্থ হয়ে ওঠে।