মহান বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গ্রামের বাড়িতে এসেছেন অনেক কর্মজীবী মানুষ। দুই দিনের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ আসার সময় নিয়মিত ভাড়া নিলেও ফেরার সময় বাড়তি ভা🧸ড়া আদায় করছে পরিবহনগুলো। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে তাই বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
শনিবার (১৬🐟 ডিসেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে ভূঞাপুর পৌর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।🌃 দুপুর থেকে বাসস্ট্যান্ড চত্বরের কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে।
ঢাকার আশুলিয়ায় যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন পোশাককর্মী রাশেদা বেগম ও সাদেকুল। সংবাদ প্রকাশকে তারা বলেন, “গত বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) কাজ শেষে অনেক কষ্ট করে বাড়ি🙈তে আসি। ছুটি শেষে আজ কর্মস্থলে ছুটতে হচ্ছে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে🔯 এসে দেখি কাউন্টারের লোকজন দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছেন।”
ওয়ালটনের বিক্রয়কর্মী মোতালেব মিয়া বলেন, “পরিবারের টানে গ্রামে এসেছিলাম। আবার কর্মের প্রয়োজনে ফিরতে হচ্ছে। এক দিন ছুটি বেশি কাটালে অফিস টাকা কেটে নেবে তাই চলে যাচ্ছি। বাসে ফিরতে সুবিধা কিন্তু বাড়তি টাকা♏ নিচ্ছে। কী আর করার, কাজে তো ফিরতে ꧟হবে।”
বাস শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এক মাসের বেশি সময় ধরে দেশজুড়ে হরতাল-অবরোধ চলছে। পরিবহন খাত ক্ষতির মুখে পড়েছে। যাত্রীও মিলছে না। তাছাড়া জ্বালানি তেলের দামও বাড়তি। তাই নির্ধারিত ভাড়ার চেয়൩ে কিছুটা বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে হঠাৎ করে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সিএনজিচালিত অট꧅োরিকশার🌠 চালকরাও ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছেন। ভূঞাপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ২৫ টাকার ভাড়া নিচ্ছেন ৫০ টাকা। গাজীপুরের চন্দ্রা, কোনাবাড়ী পর্যন্ত ভাড়া নিচ্ছেন ৫০০ টাকা।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা বাস-কোচ মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভূঞাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুরুজ্জামান সুরুজ বলেন, “অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। তাছাড়া নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া আদায়ের সুযোগ নেই। বাসমালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে⛦।”