• ঢাকা
  • শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ২৫ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


চরাঞ্চলে কালিজিরা চাষে সাফল্য


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪, ০৯:২০ এএম
চরাঞ্চলে কালিজিরা চাষে সাফল্য

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরাঞ্চলে প্রথমবারের মতো মসলাজাতীয় ফসল কালিজিরা চাষ হয়েছে। এতে ভাল💫ো ফলন পেয়েছেন চাষিরা। এতে এ অঞ্চলের অনেক কৃষক আগামীতে কালিজিরা চাষের উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, কালিজিরা ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি ফসল। প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ কালিজিরা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। সরকারের এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচাতে এবং আমদানি-নির্ভরতা কমাতে টাঙ্গাইল কৃষি বিভাগ ‘ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের’ আওতায় যমুনার চরে কালিজিরা🔯 চাষের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে। এরই অংশ হিসেবে কাকুয়া, হুগড়া, কাতুলী ও মাহমুদনগর ꦡইউনিয়নের চরাঞ্চলের কয়েকজন কৃষক এই মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে কালিজিরা চাষ শুরু করেন। এ মৌসুমে চারটি ইউনিয়নের ১৫ হেক্টর জমিতে কালিজিরা চাষ  হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। এতে খুশি কৃষকরা।

ওমরপুর গ্রামের কৃষক সৈয়দ আলী বলেন, “আগে কখনও কালিজ𓃲িরা চাষ করিনি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এক বিঘা জমিতে কার্তিক মাসে কালিজিরার আবাদ করেছিলাম। কদিন আগে ফসল তুলেছি। প্রায় চার মণ কালিজিরা পেয়েছি। প্রতি মণ কালিজিরা ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বিক্রি করা যাবে। চাষে খরচ হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। অনেক লাভবান হয়েছি আমি।”

এই কৃষক আরও জানান, কালিজিরা চাষে আগে এসব জমিতে তারা গম আবাদ করতেন। এক বিঘা জমিতে সাত থেকে আট মণ🌊 গম পাওয়া যেত। প্রতি মণ গম ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা বিক্রি করা যেতো। সে হিসেবে কাল🤪িজিরা চাষ অনেক বেশি লাভজনক।

একই গ্রামের কৃষক মজিদ মোল্লা বলেন, এক বিঘা জ🃏মিতে কালিজিরা চাষ করে ꦓঅনেক লাভবান হয়েছেন। তাদের সাফল্য দেখে এখন অনেকেই কালিজিরা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।

ওমরপুর গ্রামের লাল মিয়া ও𒁏 ওয়াজেদ মওলা জানান, তারাও আগামীতে কালিজিরা চাষ করবেন। তাদꦯের মতো আরও অনেকেই কালিজিরা চাষ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, ঔষধি গুণে ভরা অর্থকরী এ ফসলটি যমুনা চরাঞ্চলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা আসছেন কালিজিরার জমি দেখতে। বালু চরে কালিজিরা চাষের সফলতা দেখে তারাও আগামী বছর কালিজিরা চাষে আগ্রহ𓃲ী হচ্ছেন।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুমানা আক্তার জানান, যমুনার চরাঞ্চলের আবহাওয়া কালিজিরা চাষের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক প্রদর্শনী জমিগুলোতে কারিজিরার খুব ভালো ফলন হয়েছে। আগামীতে চরাঞ্চলে মৌ বক্স স্থাপনসহ কালিজিরা থেকে মধু আহরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। কালিজিরা চাষ সম্প্রসারণ করা হবে।
 

Link copied!