টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরাঞ্চলে প্রথমবারের মতো মসলাজাতীয় ফসল কালিজিরা চাষ হয়েছে। এতে ভালো ফলন পেয়েছে✱ন চাষিরা। এতে এ অঞ্চলের অনেক কৃষক আগামীতে কালিজিরা চাষের উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, কালিজিরা ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি ফসল। প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ কালিজিরা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়ℱ। সরকারের এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচাতে এবং আমদানি-নির্ভরতা কমাতে টাঙ্গাইল কৃষি বিভাগ ‘ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের’ আওতায় যমুনার চরে কালিজিরা চাষের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে। এরই অংশ হিসেবে কাকুয়া, হুগড়া, কাতুলী ও মাহমুদনগর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কয়েকজন কৃষক এই মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে কালিজিরা চাষ শুরু করেন। এ মৌসুমে চারটি ইউনিয়নের ১৫ হেক্টর জমিতে কালিজিরা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। এতে খুশি কৃষকরা।
ওমরপুর গ্রামের কৃষক সৈয়দ আলী বলেন, “আগে কখনও কালিজিরা চাষ করিনি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এক বিঘা জমিতে কার্তিক মাসে কালিজিরার আবাদ কর♍েছিলাম। কদিন আগে ফসল তুলেছি। প্রায় চার মণ কালিজিরা পেয়েছি। প্রতি মণ কালিজিরা ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বিক্রি করা যাবে। চাষে খরচ হয়েছে🌺 পাঁচ হাজার টাকা। অনেক লাভবান হয়েছি আমি।”
এই কৃষক আরও জানান, কালিজিরা চাষে আগে এসব জমিতে তারা গম আবাদ করতেন। এক বিঘা জমিতে সাত থেকে আট মণ গম পাওয়া যেত। প্রতি মণ গম ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা বিক্রি করা যেতো। সে হিসেবে কালিজিরা চাষ অনেক বেশি লাভজন🐬ক।
একই গ্রামের কৃষক মজিদ মোল্লা বলেন, এক বিঘা জমিতে কালিজিরা চাষ করে অনেক লাভবান হয়♍েছেন। তাদের সাফল্য দেখে এখন অন🍨েকেই কালিজিরা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
ওমরপুর গ্রামের লাল মিয়া ও ওয়াজেদ মওলা জানান, তারাও আগামী🔥তে কালিজিরা চাষ করবেন।꧂ তাদের মতো আরও অনেকেই কালিজিরা চাষ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, ঔষধি গুণে ভরা অর্থকরী এ ফসলটি যমুনা চরাঞ্চলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের কৃষ💮করা আসছেন কালিজিরার জমি দেখতে। বালু চরে কালিজিরা চাষের সফলতা দেখে তারাও আগামী বছর কালিজিরা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুমানা আক্তার জানান, যমুনার চরাঞ্চলের আবহাওয়া কালিজিরা চাষের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক প্রদর্শনী জমিগুলোতে কারিজিরার খুব ভালো ফলন হয়েছে। আগামীতে চরাঞ্চলে মৌ বক্স স্থাপনসহ কালিজিরা থেকে মধু আহরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। কালিজিরা চাষ সম্প্রসারণ করা হবে।