রাতের আঁধারে বিভিন্ন কবরস্থান থেকে মানুষের কঙ্কাল ও হাড়গোড় চুরি করে একটি চক্র। চুরি 💧করা এসব কঙ্কাল বিক্রি করা হয় বিভাগীয় শহর রংপুর ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন জায়গায়। রোববার (২৭ আগস্ট) কঙ্কাল চুরির সময় ৫ জনকে গ্রেপ্তা🅘রের পর এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোদাদাদ হোসেন🐎 এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার চৌধুরীহাট-বালাপুকুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে মানু♛ষের কঙ্কাল চুরির করার সময় ৫ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় বীরগঞ্জ থানায় কবরস্থানে অনধিকার প্রবেশ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানাসহ কঙ্কাল চুরির অপরাধ༺ে একটি মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন শেরপুর জেলার নকলা থানার আদর্শগ্রাম-টাংগাইলাপাড়া এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে লালচান (৩০), বাবর হোসেনের ছেলে আ✃ব্দুস সোবাহান সফু (২৮), মৃত ওসমান গণির ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২৭), মৃত ছাবেদ আলীর ছেলে ফরিদ শেখ (২৪) এবং ময়মনসিংহ সদর থানার অষ্টাধর গ্রামের তাজিম উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন বাবু (২৫)।
পুলিশ জানায়, চলতি মাসে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার কেন্দ্রীয় কবরস্থান ও💖 বীরগঞ্জ উপজেলার চৌধুরীহাট-বালাপুকুর এবং তুলশীপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে মানুষের কঙ্কাল 🍬ও হাড়গোড় চুরির ঘটনা ঘটে। ঘোড়াঘাটের একই কবরস্থান থেকে গত মার্চ মাসেও ছয়টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, “গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বীরগঞ্জ থেকে আমরা ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা কবর থেকে কঙ্কাল ও হাড়গোড় চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আসামিদের ভাষ্যমতে, চুরি করা এসব কঙ্কাল তারা রংপুর ও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ৬ হাজার ৫০০ থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি কর🍬েন।”
পুলিশ সুপার আরও বলেন, “এই চক♐্রের সঙ্গ🔴ে আরও কারা জড়িত আছে এবং কঙ্কালগুলো কারা কিনে, কোথায় বিক্রি হয় তা খুঁজে বের করতে আমরা কাজ করছি।”