পটুয়াখালীর বাউফলে হঠাৎ ঝড়ের♌ তাণ্ডবে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় স্থানীয় অনেকের গাছপালা ও ঘরবাড়ি ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত এ ঝড় স্থায়ী হয়। এতে বাউফলের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক আধাপাকা বাড়ি বি🐎ধ্বস্ত হওয়ার খবর পা🎉ওয়া গেছে। এ সময় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে।
নিহতরা হলেন উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাঁতের কাঠি গ্রামের জহির সিকদারের ছেলে রাতুল (১৪)। তাকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে বজ্রপাতে সে মারা গেছে🏅। অপর নিহতের নাম সুফিয়া বেগম (৮৫)। তিনি দাশপাড়া ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের মৃত আহম্মেদ প্যাদার স্ত্রী। ঘরের ওপর গাছ পড়ে তিনি মাꦺরা যান।
এ ছাড়া গোসিংগা গ্রামের আফসেরের গ্রেজ এলাকায় ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে সাবিহা বেগম (৩০), তার মেয়ে ইভা (১২ও) ও দুই বছর বয়সী শিশু মারাত্মক আহত হয়।
এদিকে বাউফল পৌর শহরের থানার সামনে সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার একটি ভবনের টিনের চালা উড়ে রাস্তায় পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া পশু হাসপাতাল র🌄োডে গাছ ভেঙে সড়কের ওপর পড়ায় সেখানেও চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন এল✤াকায় খুঁটি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। শিলাবৃষ্টিতে তরমুজসহ রবি ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারজান বলেন, রাতুলকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই সে মারা গেছে। তার শরীরে বজ্রপাতে♉ ঝলসানোর কোꦬনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারে।
দাশপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনএম জাহাঙ্꧙গীর হোসেন বলেন, ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে সুফিয়া বেগম মারা যান।
এ বিষয়ে উপজেলা 🎃নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বশির গাজী বলেন, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য কৃষি বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।